
শিশুদের অম্লনাশক (এন্টাসিড) খাওয়ানো হলে তাদের হাঁপানির (এজমা) ঝুঁকি বেড়ে যায়। যে সব শিশু এন্টাসিড সেবন করে না তাদের চেয়ে বরং যে সব শিশুকে এই ওষুধটি খাওয়ানো হয় তাদের এজমার ঝুঁকি বেশি দেখা দেয়। সোমবার জেএএমএ (জামা) পিডিয়াট্রিকসের একটি প্রতিবেদনে এ তথ্য দেয়া হয়েছে। এই গবেষণা তথ্য বলছে, শিশু ও বাচ্চাদের এন্টাডিস জাতীয় ওষুধ খাওয়ানোর পর শিশুর শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত সমস্যা দ্বিগুণ হয়ে যেতে পারে এবং নিঃশ্বাসের স্বাভাবিক গতি-প্রকৃতিতে ক্ষতি হতে পারে। এ গবেষণাকর্মের সহ-লেখক ইয়ান-হান ওয়াং শিশুর পিতা-মাতাদের উদ্দেশে বলেন, ‘এন্টাসিডের প্রয়োজন দেখা দিলে ওষুধ খাওয়ানোর পর বাচ্চার দিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখুন’। সুইডেনের ক্যারোলিনস্কা ইনস্টিটিউটের পিএইডি গবেষক ওয়াং আরও বলেন, ‘চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ ব্যতিরেকে ওষুধ খাওয়ানো বন্ধ করা ঠিক হবে না। তাই বিশেষ প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে কাজ করুন’। ওয়াং ও তার সহকর্মীদের তথ্য মতে, বেড়ে ওঠা শিশুদের পাকস্থলির ভেতরের অম্ল বা এসিড দূর করার জন্য এন্টাসিড ব্যবহার করা হয়। তবে ১৮ বছরের নিচের শিশুদের এন্টাসিড ব্যবহার করার ক্ষেত্রে অনেক সময় চিকিৎসকদের নিষেধাজ্ঞা থাকে। কারণ ১৮ বছরের নিচে শিশুদের পার্শ¦প্রতিক্রিয়া বা শারীরিক সমস্যার ঝুঁকিও অনেক থাকে। ওষুধ তন্ত্র-স্বাস্থ্যের (পাকিস্থলি) জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে, বিশেষ করে শিশু ও বাচ্চাদের। এই গবেষণায় সুইডেনভিত্তিক গবেষকরা দেখিয়েছেন, এক লাখ ৬০ হাজারেরও বেশি হাঁপানির সমস্যায় আক্রান্ত শিশুর প্রায় অর্ধেকই এন্টাসিড সেবন করেছিল, যাদের হাঁপানির মাত্রা আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে। গবেষকরা জানান, হাঁপানির জন্য চিকিৎসা নিয়ে যে শিশুরা এন্টাসিড সেবন করেনি তাদের তুলনায় যারা ওষুধ সেবন করেছে তাদের ঝুঁকির পরিমাণ বেশি। জরিপে দেখা গেছে, যারা এই ওষুধ সেবন করেনি তাদের ঝুঁকি ১ দশমিক ৪ শতাংশ এবং অন্যদের এই মাত্রা বেড়ে ২ দশমিক ২ শতাংশ, যেটি প্রায় দ্বিগুণের সমান। সায়েন্স নিউজ অবলম্বনে।