ছবি: সংগৃহীত
পারমাণবিক সমঝোতা নিয়ে এখনো সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেনি যুক্তরাষ্ট্র ও ইরান। এর মাঝেই নতুন করে উত্তেজনা ছড়াচ্ছে ইরানের সামরিক তৎপরতা। সম্প্রতি চীন থেকে বিপুল পরিমাণ অ্যামোনিয়াম পার ক্লোরেট আমদানি করেছে তেহরান, যা দিয়ে প্রায় ৮০০ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি সম্ভব।
পশ্চিমা গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর তথ্য মতে, এই উপকরণ শুধু ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদন কেন্দ্রেই নয়, বরং হাউথি বিদ্রোহীসহ আঞ্চলিক মিত্র গোষ্ঠীগুলোর কাছেও পাঠানো হতে পারে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ইসরাইলের সাম্প্রতিক হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষেপণাস্ত্র কারখানাগুলোর ক্ষতি কাটিয়ে উঠতেই এ উদ্যোগ।
চীনের দাবি, তাদের রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ কঠোর হলেও, এই চালানটি নিয়ে প্রশ্ন উঠছে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে। এদিকে, ইসরাইলের সম্ভাব্য হামলা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে তেলআভিভ ওয়াশিংটনকে আশ্বস্ত করেছে—আলোচনার ফলাফল না জানা পর্যন্ত তারা ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় আক্রমণ করবে না।
ওয়াশিংটনে সফররত ইসরাইলের কৌশল বিষয়ক মন্ত্রী রন ডারমার, মোসাদের প্রধান ডেভিড বার্নিয়া এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জাচি হানগিবি—তাদের বক্তব্যে জানিয়েছেন, এখনো কূটনৈতিক সমাধানের সম্ভাবনা শেষ হয়ে যায়নি।
বিশ্লেষকদের মতে, আলোচনার টেবিলে শান্তির আশা থাকলেও বাস্তবে সামরিক, কূটনৈতিক ও প্রযুক্তিগত প্রস্তুতি চলছে জোরেশোরে। ফলে মধ্যপ্রাচ্যের ক্ষমতার ভারসাম্য টালমাটাল অবস্থায় রয়েছে।
সূত্র: সময় সংবাদ
আঁখি
