
ছবিঃ সংগৃহীত
ব্রিটিশ গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব পিয়ার্স মরগানের সঙ্গে আলাপচারিতায় এমিরেটসের প্রেসিডেন্ট স্যার টিম ক্লার্ক ইঙ্গিত দিয়েছেন, দুবাই হয়তো খুব শিগগিরই এমন কিছু উন্মোচন করতে চলেছে যা বুর্জ খলিফাকেও ছাড়িয়ে যাবে। তিনি দুবাইয়ের একটি বৈচিত্র্যপূর্ণ, পরিকল্পিত অর্থনীতির উপর ভিত্তি করে গঠিত কৌশলগত বিকাশের কথা তুলে ধরেন।
দুবাইয়ের আগামী প্রকল্প বুর্জ খলিফার থেকেও "বড় এবং সুন্দর" হতে পারে—এমনটাই ইঙ্গিত দিলেন এমিরেটস এয়ারলাইন্সের প্রেসিডেন্ট স্যার টিম ক্লার্ক। পিয়ার্স মরগানের সঙ্গে এক আলাপচারিতায় তিনি বলেন,
“আমি বলব, এমন আরও কিছু আসতে পারে যা বুর্জ খলিফার চেয়েও বড় এবং বেশি মনোমুগ্ধকর – আমরা জানি না।”
চার দশক ধরে দুবাইয়ের পরিবর্তন দেখেছেন ক্লার্ক। এক সময়কার একটি আঞ্চলিক বাণিজ্যকেন্দ্র কীভাবে একটি বৈশ্বিক কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে, তা নিয়ে আলোচনার সময় এই মন্তব্য করেন তিনি।
পরিকল্পিত প্রবৃদ্ধি ও বৈচিত্র্যময় অর্থনীতি
টিম ক্লার্ক বলেন, দুবাইয়ের নেতারা কেবল আইকনিক স্থাপনার মাধ্যমে শহরকে মানচিত্রে তুলে ধরার কথা ভাবেননি, বরং একটি “ক্রিটিক্যাল ম্যাস” তৈরি করেছেন—যাতে শহরটি শুধু সরকার নয়, সাধারণ নাগরিকদের জন্যও সম্পদ উৎপন্ন করতে পারে।
তিনি বলেন, “কেউ একজন ভাবতে বসেছিল: যদি আমি সত্যিই এটি সফল করতে চাই, তাহলে শুধু জায়গাটিকে মানচিত্রে তুললেই চলবে না; একটি জীবন্ত অর্থনীতিও গড়ে তুলতে হবে, যা নাগরিকদের উপকারে আসবে।”
‘স্টেরয়েডে থাকা’ উন্নয়ন
দুবাইয়ের উন্নয়নকে ক্লার্ক তুলনা করেন “স্টেরয়েডে থাকা” অবস্থা হিসেবে—বিশেষ করে ৯০ দশকের শুরু থেকে। তিনি বলেন, এমন দ্রুত উন্নয়নের মাত্রা তিনি আগে কল্পনাও করতে পারেননি।
এই উন্নয়নের পেছনে শাসকের দূরদর্শী নেতৃত্ব ও সিদ্ধান্তই মূল চালিকাশক্তি ছিল, যা শহরের ভেতরে অর্থ বিনিয়োগে মনোনিবেশ করেছে।
“শাসক তখন বলেছিলেন—না, আমাদের অর্থ এই শহরের উন্নয়নে ব্যয় করতে হবে। এটাই ছিল মডেলের অংশ।”
দিকনির্দেশিত ও সচেতন নগর পরিকল্পনা
ক্লার্ক বলেন, দুবাইয়ের উত্থান ছিল না কোনও দুর্ঘটনাবশত ঘটনা—এটি ছিল পূর্বপরিকল্পিত এবং শহরের কৌশলগত ডিএনএ’র অংশ। শহরটি যেন একটি “বিক্ষিপ্ত এবং নিয়ন্ত্রণহীন মহানগরী” না হয়, সে বিষয়েও সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা ছিল।
মুমু