
ছবি: সংগৃহীত
বিশ্ব রাজনীতিতে উত্তেজনার নতুন অধ্যায়—শনিবার (যুক্তরাষ্ট্র সময়) রাতেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেন। এক শীর্ষ হোয়াইট হাউস কর্মকর্তা CNN-কে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গত কয়েক দিন ধরেই ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের জড়িত থাকার বিষয়ে দোলাচলে ছিলেন। তবে ঘনিষ্ঠ মহলে তিনি ইসরায়েলের চলমান সামরিক অভিযানে যুক্ত হওয়ার পক্ষেই মত দিচ্ছিলেন। তার বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ তখনও কূটনৈতিকভাবে ইরান সংকট সমাধানের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন।
এদিকে, প্রেস ব্রিফিংয়ের সময় প্রেস সেক্রেটারিকে একটি "দুই সপ্তাহের সময়সীমা" ঘোষণার নির্দেশ দিলেও, বাস্তবে ট্রাম্প অনেক আগেই কঠিন সিদ্ধান্তে পৌঁছেছিলেন।
সেই সিদ্ধান্তই বাস্তবে রূপ নেয় শনিবার সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিটে (ইস্টার্ন টাইম)। যুক্তরাষ্ট্র থেকে ছোড়া বিশাল ক্ষমতাসম্পন্ন “বাংকার বাস্টার” বোমা আঘাত হানে ইরানের দুটি পারমাণবিক স্থাপনায়।
স্থানীয় সময় রোববার ভোর রাত ২টা ১০ মিনিটে ইরানে এই হামলা সংঘটিত হয়—মার্কিন জয়েন্ট চিফস অব স্টাফের বরাত দিয়ে এমনটাই জানায় CNN।
এনবিসির ‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠানে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স জানান, “প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বোমা ফেলার মাত্র মিনিটখানেক আগে সিদ্ধান্ত দেন। তিনি চাইলে শেষ মুহূর্তেও এই অভিযান বাতিল করতে পারতেন। কিন্তু তিনি জানতেন কী করতে হবে—তিনি এগিয়ে গেলেন।”
ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্ত মধ্যপ্রাচ্যে নতুন এক অনিশ্চয়তা তৈরি করেছে। কূটনৈতিক সমাধানকে পেছনে ফেলে সরাসরি সামরিক হস্তক্ষেপ বিশ্বশক্তিগুলোর ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলছে। ইরান এই হামলার কী জবাব দেয় এবং চীন-রাশিয়ার প্রতিক্রিয়া কী হয়—সেটাই এখন বিশ্ব রাজনীতির বড় প্রশ্ন।
Mily