
ছবি: সংগৃহীত
বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ জ্বালানিবাহী নৌপথ হরমুজ প্রণালি যদি ইরান বন্ধ করে দেয়, তাহলে প্রথম প্রতিবাদ জানানো উচিত চীনের—এমন মন্তব্য করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও।
রোববার (স্থানীয় সময়) মার্কিন টেলিভিশন চ্যানেল CBS-এর জনপ্রিয় টক শো 'ফেস দ্য নেশন'-এ রুবিও বলেন, “হরমুজ প্রণালীতে যদি কোনো মাইন পুঁতে বা তা বন্ধ করার চেষ্টা করা হয়, এর প্রথম শিকার হবে চীন। কারণ তাদের বৃহৎ অংশের তেল এই পথ দিয়েই আসে।”
তিনি আরও বলেন, “এটি শুধু যুক্তরাষ্ট্রের ওপর নয়, বরং বিশ্বব্যাপী অর্থনীতির ওপর ভয়াবহ প্রভাব ফেলবে। যদিও আমাদের কিছুটা ক্ষতি হবে, তবে চীনসহ অন্যান্য দেশ আরও বেশি বিপদে পড়বে।”
ফক্স নিউজকে দেওয়া পৃথক এক সাক্ষাৎকারে রুবিও হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “এই ধরনের পদক্ষেপ ইরানের জন্য একপ্রকার অর্থনৈতিক আত্মহত্যা। কারণ এমন কিছু ঘটলে আন্তর্জাতিক পরিসরে ভয়াবহ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হবে।”
রুবিও জানান, যুক্তরাষ্ট্রের কাছে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার ‘বিকল্প পথ’ আছে। তবে তিনি মনে করেন, এমন ঘটনা ঘটলে শুধু যুক্তরাষ্ট্র নয়, বিশ্বের অনেক দেশকেই পাল্টা ব্যবস্থা নিতে বাধ্য করবে ইরানের এই আগ্রাসী কৌশল।
বিশ্ব জ্বালানিবাজারে হরমুজ প্রণালীর গুরুত্ব অপরিসীম। মধ্যপ্রাচ্য থেকে রপ্তানি হওয়া তেলের প্রায় এক-তৃতীয়াংশই এই পথ দিয়ে যায়। ফলে এই প্রণালীতে সামান্য উত্তেজনাও বৈশ্বিক জ্বালানি মূল্যে বড়সড় ঝাঁকুনি দিতে পারে। মার্কো রুবিওর এই বক্তব্য তাই শুধু কূটনৈতিক সতর্কতা নয়, বরং এক ধরনের আন্তর্জাতিক বার্তাও।