
ছবি: সংগৃহীত
গত ১৩ জুন ইরানজুড়ে চালানো ইসরায়েলি হামলায় উত্তাল হয়ে ওঠে গোটা মধ্যপ্রাচ্য। ওই হামলায় ইরানের সামরিক বাহিনীর শীর্ষ নেতাসহ বহু মানুষের প্রাণহানির খবর আসে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে।
তবে হামলার পর একটি বিশেষ গুজব ছড়িয়ে পড়ে—ইসরায়েলি বিমান হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির শীর্ষ উপদেষ্টা আলী শামখানি।
এই দাবি প্রচার করে একাধিক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম, যার মধ্যে কিছু ইসরায়েলঘেঁষা সূত্রও ছিল। তবে এবার ইরানি গণমাধ্যমগুলো সেই গুজবকে মিথ্যা বলে প্রমাণ করেছে।
ইরানি মিডিয়ার পাল্টা দাবি
ইরানের ইসলামিক রেভোলিউশনারি গার্ড কর্পস (আইআরজিসি) নিয়ন্ত্রিত ফার্স নিউজ এজেন্সি এবং মেহের নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, আলী শামখানি মারা যাননি।
তাদের প্রতিবেদন অনুযায়ী, হামলার সময় শামখানি গুরুতর আহত হন, তবে বর্তমানে তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল এবং তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ইরানি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে শামখানি নিজেও বলেন, ‘আমি জীবিত এবং ইরানের জন্য জীবন উৎসর্গ করতে সব সময় প্রস্তুত।’
তথ্য-যুদ্ধের কৌশল
চলমান ইরান-ইসরায়েল সংঘাতে শামখানির জীবিত থাকার তথ্যটি এক গুরুত্বপূর্ণ মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে। কারণ এই সংঘাতে শুধু মিসাইল বা ড্রোন নয়, সমানতালে চলছে তথ্য যুদ্ধও।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শামখানির মৃত্যু নিয়ে ছড়ানো গুজব কৌশলগতভাবে ইরানের নেতৃত্বকে দুর্বল দেখানোর চেষ্টা। কিন্তু তা ব্যর্থ হয়েছে।
শামখানির জীবিত থাকার তথ্য এখন মধ্যপ্রাচ্যের উত্তপ্ত ভূরাজনীতিতে এক গুরুত্বপূর্ণ বার্তা বহন করছে—তথ্যযুদ্ধেও সত্যই শেষ কথা। এই ঘটনা প্রমাণ করেছে, আধুনিক সংঘাতে শত্রুর শক্তি যেমন অস্ত্রে, তেমনি গুজবেও। তবে সময়মতো প্রমাণিত সত্যই পারে সেই গুজবের দেয়াল ভেঙে দিতে।
আর এ কারণেই শামখানির জীবিত থাকা শুধু একজন নেতার সুস্থতা নয়, বরং এক দেশের মর্যাদা রক্ষারও প্রতীক।
সূত্র: https://www.youtube.com/watch?v=yyQgMeOSljI
রাকিব