
ছবি: সংগৃহীত
সৌদি আরবে ‘রিটেইলটেইনমেন্ট’— অর্থাৎ খুচরা বিক্রি ও বিনোদনের সম্মিলিত অভিজ্ঞতা— ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে, যা দেশের শপিং মলগুলোকে শুধু কেনাকাটার জায়গা নয়, বরং সামাজিক ও সাংস্কৃতিক মিলনস্থলে রূপান্তর করছে।
ভিশন ২০৩০-এর অংশ হিসেবে সৌদি সরকার দেশের রিটেইল খাতকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করতে চায়। এই লক্ষ্যে, রিয়াদে ২০৩০ সালের মধ্যে ২২ লাখ বর্গমিটার নতুন রিটেইল স্পেস তৈরি হচ্ছে এবং মলগুলোর ভাড়া বছরে ৪% বেড়েছে।
আর্থার ডি. লিটল-এর উপদেষ্টা অলিভিয়ে দে কোয়িনটে বলেন, “রিটেইলটেইনমেন্ট মলগুলোকে সৌদি আরবের পর্যটন ও ব্যবসায়িক কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে সাহায্য করছে।”
অলিভার ওয়াইমন-এর প্রতিবেদন অনুসারে, সৌদির শপিং মলগুলো তাদের প্রায় ৪০% জায়গা অ-রিটেইল কার্যক্রমের জন্য বরাদ্দ করছে— যেমন সিনেমা, ফ্যামিলি এন্টারটেইনমেন্ট, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ইত্যাদি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ই-কমার্সের প্রসার সত্ত্বেও শপিং মলগুলো টিকে থাকবে, কারণ ভোক্তারা এখনো বাস্তব অভিজ্ঞতার প্রতি আগ্রহী। পাশাপাশি, বিদেশি ব্র্যান্ডগুলোর আগমনও দেশীয় বাজারকে আরও প্রতিযোগিতামূলক ও বৈচিত্র্যময় করে তুলছে।
তবে, অতিরিক্ত রিটেইল প্রকল্পের কারণে ‘ওভারসাপ্লাই’ একটি চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠতে পারে বলে সতর্ক করেছেন CBRE এবং S&P Global-এর বিশ্লেষকরা। এই সমস্যা মোকাবেলায় উন্নত বিনোদন ও সংস্কৃতি-নির্ভর ধারণা প্রয়োগ এবং স্থানীয় চাহিদা অনুযায়ী মল ডিজাইন করার পরামর্শ দিয়েছেন তারা।
সৌদি আরবে শপিং মলগুলো নতুন যুগে প্রবেশ করছে, যেখানে ভোক্তা অভিজ্ঞতা, প্রযুক্তি, ও সামাজিক সম্পৃক্ততা একত্রে গড়ে তুলছে ভবিষ্যতের রিটেইল প্ল্যাটফর্ম।
আবির