ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৮ জুন ২০২৫, ২৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

কোরবানির বর্জ্য অপসারণে বিসিসির নজির স্থাপন

স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল

প্রকাশিত: ১৪:৪৩, ৮ জুন ২০২৫

কোরবানির বর্জ্য অপসারণে বিসিসির নজির স্থাপন

পবিত্র ঈদুল আজহায় মহান আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি লাভের আশায় ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা পশু কোরবানি দিয়েছেন। বরিশাল নগরীতে ঈদের প্রথম দিনেই (৭ জুন) অধিকাংশ পশু জবাইয়ের কার্যক্রম শেষ হয়েছে।

এবারই পশুর বর্জ্য অপসারণে নজির স্থাপন করেছেন বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) পরিচ্ছন্নতা বিভাগের কর্মীরা। শনিবার (৭ জুন) দুপুর দুইটার পর থেকে সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতা বিভাগের কর্মীরা গাড়ি নিয়ে বর্জ্যগুলো অপসারণসহ নগরীর রাস্তাঘাট ধুয়ে-মুছে পরিষ্কারের কার্যক্রম শুরু করেন। ওইদিন রাত আটটার মধ্যে পুরো নগরী থেকে বর্জ্য অপসারণের কাজ সম্পন্ন করা হয়।

যদিও অনেক জায়গায় নগরবাসী নিজ নিজ উদ্যোগে কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণ করেছেন। যেখানে পশু কোরবানি করা হয়েছে সেই স্থানটি ধুয়ে-মুছে পরিষ্কার করে জীবাণুনাশক হিসেবে ব্লিচিং পাউডার ছিটানো হয়েছে। সেই সাথে বাকি বর্জ্য ব্যাগে করে নির্দিষ্ট স্থানে রেখে দেওয়া হয়।

পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা জানিয়েছেন, পরিবেশ যাতে দূষিত না হয় সে কারণেই তারা বিসিসির প্রশাসকের কঠোর নির্দেশে পশু জবাইয়ের পর রক্ত পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলেন। পাশাপাশি অন্যান্য বর্জ্য যেখানে রাখা হয়েছিল সেইসব স্থান থেকে বর্জ্য অপসারণ করে জায়গাগুলোও ধুয়ে জীবাণুনাশক ছিটানো হয়েছে।

রবিবার (৮ জুন) দুপুরে বরিশাল সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতা কর্মকর্তা মো. ইউসুফ আলী জনকণ্ঠকে জানান, শনিবার (৭ জুন) দুপুর দুইটার দিকে নগরীর বগুড়া রোড এলাকা থেকে শুরু হয় বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম। নগরের ৩০টি ওয়ার্ডে পশু জবাইয়ের জন্য ২০২টি স্পট নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছিল সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে। দুপুর দুইটা থেকে শুরু করে রাত আটটার মধ্যে বর্জ্য অপসারণের কাজ শেষ করেছেন পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা।

বরিশাল সিটি করপোরেশনের প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনার মো. রায়হান কাওছার জনকণ্ঠকে বলেন, বরিশাল সিটি করপোরেশনের সাতশ’ পরিচ্ছন্নতাকর্মী এ কাজে নিয়োজিত ছিলেন। মোট ২৫টি ময়লার ট্রাক, দুটি পানির ট্রাক ও চারটি পে-লোডারের মাধ্যমে বর্জ্য অপসারণের কাজ করা হয়েছে। এরপর ব্লিচিং পাউডার ছিটিয়ে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলা হয়েছে নগরীর সড়কগুলো।

একই সাথে আগে থেকেই প্রতিটি ওয়ার্ডে বর্জ্য রাখার জন্য ৫০০টি করে বস্তা ও ৫০ কেজি করে ব্লিচিং পাউডার পাঠানো হয়েছিল। ফলে এবারে পশু কোরবানির বর্জ্য নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অপসারণ করা সম্ভব হয়েছে।

সানজানা

×