ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ২২ জুন ২০২৫, ৯ আষাঢ় ১৪৩২

ইরান পারমাণবিক অস্ত্র বানাচ্ছে কি না, তা নিয়ে গোয়েন্দা প্রধানকে প্রকাশ্যে ভর্ৎসনা ট্রাম্পের

প্রকাশিত: ১৯:৪৪, ২১ জুন ২০২৫; আপডেট: ১৯:৪৪, ২১ জুন ২০২৫

ইরান পারমাণবিক অস্ত্র বানাচ্ছে কি না, তা নিয়ে গোয়েন্দা প্রধানকে প্রকাশ্যে ভর্ৎসনা ট্রাম্পের

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আবারও প্রকাশ্যে নিজের গোয়েন্দা বিভাগের প্রধানের বক্তব্যকে অস্বীকার করলেন। গত মার্চে জাতীয় গোয়েন্দা পরিচালক তুলসি গ্যাবার্ড কংগ্রেসে সাক্ষ্য দিয়েছিলেন যে, গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর মূল্যায়ন অনুযায়ী ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির পথে নেই। কিন্তু শুক্রবার নিউ জার্সিতে ট্রাম্প সেই দাবি সরাসরি নাকচ করে দেন।

এক সাংবাদিক তাকে প্রশ্ন করেন, “আপনার গোয়েন্দা সংস্থা তো বলেছে, ইরান বর্তমানে পারমাণবিক অস্ত্র বানাচ্ছে এমন কোনো প্রমাণ নেই। আপনার কাছে কী গোয়েন্দা তথ্য আছে যে তারা বানাচ্ছে?” এর উত্তরে ট্রাম্প বলেন, “তাহলে আমার গোয়েন্দা সংস্থা ভুল। গোয়েন্দা সংস্থায় কে এটা বলেছে?”

সাংবাদিক জানালে যে বক্তব্যটি জাতীয় গোয়েন্দা পরিচালক তুলসি গ্যাবার্ডের, ট্রাম্প বলেন, “তাহলে ও ভুল বলেছে।”

তুলসি গ্যাবার্ড মার্চে কংগ্রেসে সাক্ষ্য দিয়েছিলেন, গোয়েন্দা মহলের মূল্যায়নে দেখা গেছে, ইরান এখনো পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির সিদ্ধান্ত নেয়নি এবং দেশটির সর্বোচ্চ নেতা পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচির অনুমোদন দেননি। তবে তিনি এটাও বলেন, পারমাণবিক অস্ত্র না থাকা সত্ত্বেও ইরানের সমৃদ্ধ ইউরেনিয়ামের মজুত অভূতপূর্ব।

ট্রাম্প এই সপ্তাহের শুরুতেও গ্যাবার্ডের মূল্যায়ন নাকচ করে বলেছিলেন, “আমি পাত্তা দিই না ও কী বলেছে। আমার মনে হয়, ওরা খুব কাছাকাছি পৌঁছে গেছে।”

গ্যাবার্ডের বক্তব্যের পর থেকে তার হোয়াইট হাউজে অবস্থান ও রাজনৈতিক প্রভাব নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। ট্রাম্পের এমন মন্তব্য সেই অনিশ্চয়তাই আরও ঘনীভূত করেছে।

তবে ভাইস প্রেসিডেন্ট ভ্যান্সসহ হোয়াইট হাউজের শীর্ষ কর্মকর্তারা গ্যাবার্ডের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। ভ্যান্স এক্স প্ল্যাটফর্মে এক পোস্টে লেখেন, “মার্চের পর থেকে অনেক কিছু বদলে গেছে।” তিনি গ্যাবার্ডকে বর্ণনা করেন “একজন অভিজ্ঞ সেনা, দেশপ্রেমিক, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বিশ্বস্ত সমর্থক এবং ২০২৪ সালের নির্বাচনী জোটের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য” হিসেবে।

এই বিতর্ক এমন এক সময়ে সামনে এলো, যখন ট্রাম্প ইরান-ইসরায়েল চলমান উত্তেজনায় সরাসরি যুক্ত হওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করছেন। তিনি আগেই বলেছিলেন, ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করতে দেওয়া যাবে না। তবে একই সঙ্গে তিনি দুই সপ্তাহের একটি সময়সীমা রেখেছেন আলোচনার জন্য, তার পরেই সম্ভাব্য সামরিক পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ভাবছেন।


ডোনাল্ড ট্রাম্পের এমন মন্তব্য শুধু তার গোয়েন্দা বিভাগের ওপর সন্দেহকেই স্পষ্ট করে না, বরং ভবিষ্যতে ইরান-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক ও মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতি কোন দিকে মোড় নিতে পারে, সেই দিকেও ইঙ্গিত দেয়। এখন দেখার বিষয়, এই দ্বন্দ্বের মধ্যে দিয়ে হোয়াইট হাউজের অভ্যন্তরীণ ভারসাম্য কোন পথে যায়।

 

 


সূত্র:https://tinyurl.com/vb5mwntz

আফরোজা

×