ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ৩১ মে ২০২৫, ১৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

ট্রাম্পের পাশে মাস্ক, কী করলেন রাতারাতি?

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ১২:০৫, ৩০ মে ২০২৫

ট্রাম্পের পাশে মাস্ক, কী করলেন রাতারাতি?

ছবি: সংগৃহীত

বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি ও প্রযুক্তি উদ্যোক্তা ইলন মাস্ক হঠাৎ করেই মার্কিন প্রশাসনের কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে আসেন। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁকে ‘বুদ্ধিমান লোক’ এবং ‘দেশের জন্য নিবেদিত’ বলে উল্লেখ করে নিজ প্রশাসনে জায়গা দেন। মাস্ক হোয়াইট হাউসে ‘টেক সাপোর্ট’ লেখা টি-শার্ট ও কালো MAGA টুপি পরে, কেবিনেট সভায় অংশ নেন, প্রেসিডেন্টের অফিসে পুত্রকে কাঁধে তুলে রাখেন এবং এমনকি এয়ার ফোর্স ওয়ানে চড়েন সবকিছু যেন একটি নতুন ধাঁচের প্রশাসনিক নাট্যাংশ।

প্রভাবশালী ডেমোক্রেটরা মাস্ককে ‘সহ-রাষ্ট্রপতি’ বলে অভিহিত করেন। ফেডারেল সরকারে বড় ধরণের সংস্কার শুরু করেন মাস্ক। তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি ছিল স্পষ্ট। যেখানে সমস্যা, সেখানে অর্থ, দীর্ঘ সময় কাজ আর সুনির্দিষ্ট অ্যালগরিদম দিয়ে সমাধান।

টেসলাকে বৈদ্যুতিক গাড়ির জগতে শীর্ষে নিয়ে যাওয়া, স্পেসএক্সের মাধ্যমে মহাকাশ অভিযানকে নতুন গতি দেওয়া এবং টুইটার কিনে সামাজিক যোগাযোগের ধরন বদলে দেওয়ার পর, মাস্ক মনে করেছিলেন ওয়াশিংটনকেও নিজের ইচ্ছামতো গঠন করা সম্ভব।

কিন্তু সেই আত্মবিশ্বাসী প্রবেশের পর বিদায়টা ছিল নীরব ও অনুচ্চারিত। তাঁর নেতৃত্বে হাজার হাজার কর্মচারী উদ্বেগজনকভাবে ছাঁটাই হন বা বহিষ্কৃত হন, যার মধ্যে অনেকে পরে আবার নিয়োগ পান। কয়েকটি ফেডারেল সংস্থা কার্যত ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়।

মাস্ক ও ট্রাম্প বারবার বলেছিলেন, সরকারে ব্যাপক জালিয়াতি হয়েছে। কিন্তু আজ অবধি কারও বিরুদ্ধে মামলা হয়নি। খরচ কমানোর প্রাথমিক লক্ষ্য ছিল ২ ট্রিলিয়ন ডলার, পরে তা কমে দাঁড়ায় ১ ট্রিলিয়ন, এবং শেষ পর্যন্ত ১৫০ বিলিয়নে। কিন্তু সেই লক্ষ্যও বাস্তবায়নের পথে নয়।

শহীদ

×