ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ০২ জুন ২০২৫, ১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

জোয়ারে ক্ষতিগ্রস্ত বাঁশবাড়িয়া ফেরীঘাট পরিদর্শন করলেন জামায়াত আমীর

আশরাফ উদ্দিন, সীতাকুণ্ড, চট্টগ্রাম

প্রকাশিত: ১৫:২১, ৩১ মে ২০২৫

জোয়ারে ক্ষতিগ্রস্ত বাঁশবাড়িয়া ফেরীঘাট পরিদর্শন করলেন জামায়াত আমীর

টানা দুদিনের ভারী বর্ষণ ও জোয়ারের পানিতে সীতাকুণ্ডের বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের নবনির্মিত ফেরীঘাটের সড়ক ধসে গেছে। পাশাপাশি একটি ফেরীর টাকবোর্ডও পানিতে ডুবে গেছে। এর ফলে দ্বীপ উপজেলা সন্দ্বীপ ও মূল ভূখণ্ড চট্টগ্রামের মধ্যে যোগাযোগ সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে। সংশ্লিষ্টরা জানান, দ্রুত সংস্কার কাজ শেষ করে যোগাযোগ চালু করা হবে।

এদিকে, ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধ, সড়ক ও ফেরীঘাট পরিদর্শন করেছেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা জামায়াতের আমীর আলাউদ্দিন সিকদার। শনিবার (৩১ মে) সকালে তিনি বাঁশবাড়িয়া ফেরীঘাট পরিদর্শনে আসেন। এসময় তার সঙ্গে জেলা জামায়াত, উপজেলা ও ইউনিয়ন জামায়াতের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

পরিদর্শনে তিনি ফেরীঘাটের বিভিন্ন ক্ষতিগ্রস্ত স্থান ঘুরে দেখেন এবং প্রয়োজনীয় নোট করেন। স্থানীয় নেতাকর্মীরাও তাকে সমস্যা সমূহ জানান। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, "আমরা পরিদর্শনে এসে দেখেছি বাঁশবাড়িয়া ফেরীঘাটের বেশ কয়েকটি পয়েন্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সড়ক ধসে গেছে, অনেক স্থানে মাটি সরে গিয়ে ইট ও বালি ভেসে গেছে। আমরা দাবি জানাব দ্রুত এসব সংস্কার করে ঈদের আগেই যোগাযোগ পুনরায় চালু করতে, যেন মানুষ নির্ভিঘ্নে যাতায়াত ও বাড়ি ফিরে যেতে পারে।"

তিনি আরও বলেন, "সরকার দ্রুত এখানে কোস্টাল ফেরী নিয়ে আসুক এবং সী ট্রাক চালুর ব্যবস্থা করুক। এতে নিরাপদে মানুষ ওপারের সাথে যোগাযোগ করতে পারবে।"

আলাউদ্দিন সিকদার বলেন, "লাল বোটে মানুষের পারাপার বন্ধ করতে হবে। এটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। এভাবেই আমরা ১৮ জন প্রাণ হারিয়েছি সাগর পথে। আমি সরকারকে বলব, ওপারের গুপ্তছড়া ঘাটও অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সেগুলোসহ বাঁশবাড়িয়ার অংশের দ্রুত সংস্কার প্রয়োজন। মানুষ ফেরীর সুবিধা ফিরে পাবে, এই লক্ষ্যে তৎপর হওয়া উচিত। সন্দ্বীপবাসী বহু বছর পর নতুন আশায় বুক বেঁধেছে, যেন তারা হতাশ না হয়। আমাদের উপদেষ্টা ফাউজুল কবির খান এই বিষয়ে অত্যন্ত আন্তরিক। আমি বিশ্বাস করি এই সমস্যাগুলো অচিরেই সমাধান হবে। প্রয়োজনে আমরা পরামর্শ দিব কোথায় ও কিভাবে কাজ করলে টেকসই হবে এবং সুফল পাওয়া যাবে।"

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বাঁশবাড়িয়া ফেরীঘাটের সড়কের বেশ কিছু স্থানে মাটি সরে ব্লক মাটিতে ধসে গেছে। একটি টাকবোর্ড পানিতে সম্পূর্ণ ডুবে গেছে। শ্রমিকরা সেখানে সংস্কার কাজ চালাচ্ছেন।

ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ওয়েল কনস্ট্রাকশনের মালিক হামিদ হোসেন বলেন, "আমরা সংস্কার কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। আশা করি দ্রুত ফেরী চলাচল শুরু করতে পারব। আপাতত বিআইডব্লিউটিএ ফেরী নিরাপদে সরিয়ে নিয়েছে। আমরা সড়কে মাটি ও বালি পাইলিং করছি এবং যেসব জায়গায় মাটি সরে গেছে সেগুলো পুনরায় বসানো হচ্ছে। তবে সমুদ্রের উত্তালতার কারণে টিকে থাকা কঠিন। এখানে সিসি ঢালাই সড়ক করতে হবে, তা না হলে টেকসই হবে না। এছাড়া টাকবোর্ডটি তুলতে কিছু সময় লাগবে।"

নুসরাত

×