
ছবি: সংগৃহীত
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) জিয়া পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতা ও রিসার্চ অফিসার ড. মো. রোকনুজ্জামানের কক্ষে বিএনপি পন্থী কর্মকর্তা, সংস্থাপন শাখার অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার ড. মুহাম্মদ জিয়াউল হককে আওয়ামী পন্থী কর্মকর্তা ও বেরোবি স্বাধীনতা পরিষদের সদস্য, অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার খন্দকার গোলাম মোস্তফার বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনার বিচার চেয়ে বিএনপি পন্থী কর্মকর্তা ড. মুহাম্মদ জিয়াউল হক রোববার (১ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন।
অভিযোগপত্রে তিনি উল্লেখ করেন, গত ২৬ মে দুপুর ১২টায় বিএনপি পন্থী আরেক কর্মকর্তা, অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার তারিকুল ইসলামের সঙ্গে কথা বলার জন্য তিনি ড. রোকনুজ্জামানের কক্ষে যান। সেখানে পূর্ব থেকেই উপস্থিত ছিলেন উপ-গ্রন্থাগারিক মামদুদুর রহমান, উপ-রেজিস্ট্রার আশরাফুল আলম এবং অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার খন্দকার গোলাম মোস্তফা।
এক পর্যায়ে ‘শ্রান্তি বিনোদন ভাতা’ নিয়ে খন্দকার গোলাম মোস্তফার সঙ্গে কথাকাটাকাটি হলে, তিনি (গোলাম মোস্তফা) তেড়ে এসে তাকে (জিয়াউল হককে) শারীরিকভাবে হেনস্তা করেন বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়।
এ বিষয়ে আওয়ামী পন্থী কর্মকর্তা ও বেরোবি স্বাধীনতা পরিষদের সদস্য, অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার খন্দকার গোলাম মোস্তফার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করেন এবং দাবি করেন, বরং তিনিই (ড. জিয়াউল হক) শারীরিকভাবে হেনস্তার শিকার হয়েছেন। বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ারও চেষ্টা করেন। পরে আবার যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন ধরেননি।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. মো. হারুন অর রশীদ বলেন, “অভিযোগ পেয়েছি। এরূপ কিছু ঘটে থাকলে সেটা খুবই দুঃখজনক হবে। এখন আসলে কী ঘটেছে তা জানার চেষ্টা করছি। প্রয়োজনীয় কারণ তদন্ত করব। যে দোষী হবে, তার বিরুদ্ধে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এম.কে.