
ছবি: দৈনিক জনকন্ঠ।
ঈদগাঁওতে ঘূর্ণিঝড় শক্তির প্রভাব ও বৃষ্টি থেমে যাওয়ায় ভেসে উঠেছে ক্ষত চিহ্ন। অতি বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে ঈদগাঁও নদীর পানি অস্বাভাবিক ভাবে বৃদ্ধি পেয়ে জালালাবাদ মনজুর মৌলভীর দোকান পয়েন্ট দিয়ে নদীর পানি ঢুকে প্রায় ৫০টির মত ঘরবাড়ি পানির নিচে তলিয়ে গেছে।
তন্মধ্যে ৬টি বাড়ি বন্যার পানিতে সম্পূর্ণরূপে বিধ্বস্ত হয়ে গেছে৷ বিধ্বস্ত বাড়ির মালিকরা হলেন বেলাল আহমদ, সাহেদ উল্লাহ, এরশাদ উল্লাহ, একরাম, জাফর আলম এবং জাহানারা বেগম৷
অপর ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িগুলো কোমর সমান পানিতে নিমজ্জিত ছিল। ভোর রাত থেকে আস্তে আস্তে বন্যার পানি নামতে শুরু করে। বিকেলে বন্যার পানি সম্পূর্ণরূপে নেমে গেছে। প্রবল স্রোতে জালালাবাদ ফরাজি পাড়া, পোকখালী সড়ক ভেঙে গেলে বর্তমানে ঈদগাঁওর সঙ্গে ফরাজি পাড়া ও পোকখালী সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।
রাতে ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর তাজ জনি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর মাঝে রান্না করা খাবার এবং ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেছেন। স্থানীয়দের সহায়তায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে রাতে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়।
ক্ষতিগ্রস্ত স্থানটি মেরামতের জন্য এলজিআরডির পক্ষ থেকে মাসখানেক আগে বাঁধ কেটে নদীর পাড়ে পাইলিং করে বল্লি পুঁতা হয়। মূলত ওই অংশ দিয়েই বন্যার পানি প্রবেশ করেছে বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা। তারা আরও জানায়, বর্ষায় বিষয়টি মাথায় না রেখে বাঁধ কেটে ফেলায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
এলজিআরডির উপজেলা প্রকৌশলী আল মাঈন শাহরিয়ার বলেন, আজকেই (শনিবার ৩১ মে) আমাদের একটি টিম ক্ষতিগ্রস্ত স্থানটি পরিদর্শনে যাবে এবং ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করে দ্রুত সড়ক যোগাযোগ পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। অপর এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, তিনি এ উপজেলায় দুসপ্তাহ আগে যোগদান করেছেন তাই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের নাম এবং প্রকল্পের ব্যয় ও মেয়াদকাল সম্পর্কে কোন তথ্য দিতেপারেননি। বিষয়টি তিনি এলজিআরডির জেলা প্রকৌশলীকে অবহিত করেছেন বলে জানান।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের গাফলতির কারণে এ পরিস্থিতির সৃষ্টি বলে জানান, জালালাবাদের ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর তাজ জনি। কোরবানির ঈদের আগে দ্রুত সড়ক যোগাযোগ প্রতিষ্ঠিত না হলে ভোগান্তি চরম আকার ধারণ করবে বলে জানান, ইজিবাইক চালক আবদুল হাকিম।
মিরাজ খান