
ছবি: সংগৃহীত
একাকিত্ব ও ডায়াবেটিস—দুইয়ের মধ্যে রয়েছে গভীর সম্পর্ক। গবেষণায় দেখা গেছে, যারা দীর্ঘদিন একাকী থাকেন, তাদের টাইপ-২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। আবার ডায়াবেটিস আক্রান্তরাও অনেক সময় সামাজিকভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন, যা ডিপ্রেশন ও উদ্বেগের মতো মানসিক সমস্যা বাড়ায়।
যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র (CDC) জানায়, দেশটির ১০ শতাংশেরও বেশি মানুষ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। অথচ রোগটি যত সাধারণ, ততটাই নিঃসঙ্গ করে তোলে অনেককে।
গবেষণার ফলাফল কী বলছে?
এক গবেষণায় দেখা গেছে, যারা একাকিত্বে ভোগেন, তাদের টাইপ-২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেক বেশি। অন্যদিকে, ডায়াবেটিস রোগীদের মধ্যে যারা পরিবার বা আশপাশের মানুষের নানাবিধ 'স্মরণ করানো' নিয়ে বিরক্ত হন, তাদের একাকিত্ব বেশি অনুভূত হয়।
ডায়াবেটিসের নানা জটিলতা যেমন চোখ, কিডনি বা স্নায়ুর ক্ষতি—এগুলোও সামাজিক জীবনকে প্রভাবিত করে।
একাকিত্ব থেকে বের হওয়ার কিছু কার্যকর উপায়
১. স্বেচ্ছাসেবামূলক কাজে যুক্ত হন: এতে সামাজিক যোগাযোগ বাড়বে, মানসিক তৃপ্তিও পাবেন।
২. ডায়াবেটিস সাপোর্ট গ্রুপে যোগ দিন: একই অভিজ্ঞতাসম্পন্ন মানুষদের সঙ্গে মেলামেশা করে মানসিক ভার লাঘব হতে পারে।
৩. ব্যায়ামে অভ্যস্ত হন: হাঁটাহাঁটি, ইয়োগা, বা জিমে যাওয়া—এসবের মাধ্যমে শরীরের পাশাপাশি মনও সুস্থ থাকে।
৪. পরিবার-বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখুন: সপ্তাহে একবার হলেও ফোন বা মেসেজে খোঁজ নিন, তা মন ভালো করতে পারে।
৫. ক্লাসে ভর্তি হোন: আগ্রহের কোনো বিষয়ের ওপর ছোটখাটো কোর্স করলে নতুন মানুষের সঙ্গে পরিচয় হবে।
৬. প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম সংগ্রহ করুন: সুলভ মূল্যে ইনসুলিন বা ডায়াবেটিস ব্যবস্থাপনার অন্যান্য জিনিস সহজলভ্য হলে বাইরে চলাফেরা করতেও আর সমস্যা হবে না।
ডায়াবেটিস ও একাকিত্ব—একটি আরেকটিকে বাড়িয়ে তোলে। তবে আপনি চাইলেই এই চক্র থেকে বের হতে পারেন। সচেতন সামাজিক যোগাযোগ, মানসিক যত্ন এবং রোগ সম্পর্কে জানাশোনাই হতে পারে আপনাকে সুস্থ রাখার মূল চাবিকাঠি।
আবির