
ছবিঃ সংগৃহীত
প্রস্রাবের পরিমাণ বা ঘনত্ব নিয়ে আমাদের অনেকেরই চিন্তা থাকে। কেউ ঘন ঘন প্রস্রাব নিয়ে উদ্বিগ্ন, কেউ আবার অতিরিক্ত কম হওয়া নিয়ে। কিন্তু আসলে দিনে কতবার প্রস্রাব হওয়া স্বাভাবিক এবং কখন তা কিডনি বা অন্যান্য শারীরিক সমস্যার ইঙ্গিত হতে পারে— সে বিষয়ে সচেতন হওয়া খুব জরুরি।
স্বাভাবিক প্রস্রাবের পরিমাণ কত?
ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথের তথ্য অনুযায়ী, একজন প্রাপ্তবয়স্ক সুস্থ মানুষের দিনে ৬ থেকে ৭ বার প্রস্রাব হওয়া স্বাভাবিক। তবে কারও শরীরে পানি গ্রহণ বেশি হলে দিনে ৪ থেকে ১০ বার পর্যন্ত প্রস্রাব হলেও তা স্বাভাবিক বলে ধরা হয়।
তবে যদি দিনে ১০ বারের বেশি প্রস্রাব হয়, বা প্রতি আধা ঘণ্টায় একবার করে বাথরুমে যেতে হয়— তাহলে তা ‘পলিইউরিয়া’র লক্ষণ, যা বিপদের ইঙ্গিত হতে পারে। আবার দিনে ৪-৬ বারের কম প্রস্রাব হলে বা প্রস্রাবের সময় জ্বালা অনুভব হলে সেটিও হতে পারে অসুস্থতার লক্ষণ।
রাতে প্রস্রাব কতবার হলে অস্বাভাবিক?
রাতে একবার বা দুইবার প্রস্রাব হওয়া স্বাভাবিক। কিন্তু যদি প্রতি ঘণ্টায় একবার করে ওঠার প্রয়োজন হয়, তাহলে তা ‘নকচুরিয়া’ নামে পরিচিত একটি সমস্যা। এটি কিডনি, প্রস্টেট, ডায়াবেটিস, থাইরয়েড, হৃদরোগ এমনকি স্নায়বিক রোগের ইঙ্গিত হতে পারে।
ঘন ঘন প্রস্রাবের সম্ভাব্য কারণ
১. অতিরিক্ত পানি বা ক্যাফেইন গ্রহণ
২. অ্যান্টিসাইকিয়াট্রিক বা কিডনির ওষুধ
৩. গর্ভাবস্থা বা মেনোপজ
৪. প্রস্টেটের বৃদ্ধি বা কিডনি স্টোন
৫. স্নায়ু সমস্যা বা ক্যানসার
৬. ডায়াবেটিস বা হরমোন ভারসাম্যহীনতা
প্রতিরোধে করণীয়
-
পানি গ্রহণ পরিমিত রাখুন
-
চা, কফি ও অ্যালকোহল কমান
-
অতিরিক্ত মশলাযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন
-
হাঁটা, যোগব্যায়াম বা সাঁতারের মাধ্যমে পেলভিক পেশি শক্তিশালী রাখুন
বিশেষ পরামর্শ
ঘন ঘন বা খুব কম প্রস্রাব, জ্বালা, ব্যথা বা রাতে অতিরিক্ত প্রস্রাব— এসব লক্ষণ অবহেলা না করে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন। প্রয়োজনে ইউরিন টেস্ট বা কিডনি ফাংশন টেস্ট করাতে হতে পারে।
সুস্থ প্রস্রাবের অভ্যাস মানেই সুস্থ কিডনি ও স্বাস্থ্যের প্রতিচ্ছবি।
ইমরান