গর্ভাবস্থার শুরুতে সংক্রমণ প্রতিরোধে ব্যবহৃত কিছু সাধারণ অ্যান্টিবায়োটিক গর্ভপাতের ঝুঁকি দ্বিগুণ পর্যন্ত বাড়িয়ে দিতে পারে—এমনই সতর্কবার্তা দিয়েছেন গবেষকরা। কানাডার ইউনিভার্সিটি ডে মন্ট্রিয়ালের সাম্প্রতিক এক গবেষণায় এই তথ্য উঠে এসেছে।
গবেষণায় বলা হয়েছে, ম্যাক্রোলাইডস, কুইনোলোনস, টেট্রাসাইক্লিনস, সালফোনামাইডস এবং মেট্রোনিডাজল নামক অ্যান্টিবায়োটিকগুলো গর্ভাবস্থার প্রথম দিকে ব্যবহৃত হলে "স্পন্টেনিয়াস অ্যাবরশন" অর্থাৎ ২০ সপ্তাহের আগেই গর্ভপাতের ঝুঁকি উল্লেখযোগ্য হারে বেড়ে যায়।
গবেষণাটি প্রায় ৮ হাজার ৭০০টি গর্ভপাতের ঘটনা বিশ্লেষণ করেছে এবং ৮৭ হাজারেরও বেশি স্বাস্থ্যবান গর্ভবতী নারীর তথ্যের সঙ্গে তুলনা করেছে। দেখা গেছে, গড়ে ১৪ সপ্তাহের মাথায় গর্ভপাতের ঘটনাগুলো ঘটেছে।
তবে বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, সব অ্যান্টিবায়োটিকই ক্ষতিকর নয়। উদাহরণস্বরূপ, ইরিথ্রোমাইসিন এবং নাইট্রোফিউরানটোইন, যা সাধারণত গর্ভাবস্থায় মূত্রনালির সংক্রমণে ব্যবহৃত হয়, সেগুলো গর্ভপাতের ঝুঁকি বাড়ায় না।
তাহলে সংক্রমণ হলে করণীয় কী? গবেষকরা বলছেন, চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সবচেয়ে "নিরাপদ ও কার্যকর ডোজ" নির্বাচন করাই বুদ্ধিমানের কাজ। গর্ভাবস্থায় যেকোনো ওষুধ ব্যবহারের আগে অবশ্যই গাইনী চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
গবেষকরা আরও মনে করছেন, এই ফলাফল নীতিনির্ধারকদের জন্য গাইডলাইন হালনাগাদ করার সময়োপযোগী ভিত্তি তৈরি করবে। গবেষণাটি প্রকাশিত হয়েছে কানাডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন জার্নালে।
মিমিয়া
