ছবি: দৈনিক জনকণ্ঠ।
পদ্মা নদীতে নতুন পানির আগমন। পদ্মার বুকে জেগে উঠা চরগুলোয় বর্ষার নতুন পানির ছোঁয়া। পানিতে ডুবে গেছে জেগে থাকা সকল চর। ঝকঝকে নীল আকাশের প্রতিবিম্বে পদ্মার স্বচ্ছ পানিতেও নীলাভ আভা। মৃদুমন্দ বাতাস, পদ্মার ঢেউ আর মাথা তুলে দাঁড়ানো পদ্মাসেতু। সব মিলিয়ে পদ্মা নদীর সৌন্দর্য মুগ্ধ করে যে কাউকে। ঈদের ছুটিতে এই সৌন্দর্য দেখতেই দূরদূরান্ত থেকে ছুটে আসে দর্শনার্থীরা। পদ্মার এই সৌন্দর্য উপভোগ করতে শিবচরে কর্মরত একঝাঁক সংবাদকর্মীর অংশগ্রহণে নৌভ্রমণ অনুষ্ঠিত হলো। বুধবার (১১ জুন) বিকেল ৫টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত উপজেলার কাওড়াকান্দি ঘাট থেকে পদ্মানদীর সেতু সংলগ্ন এলাকা ভ্রমণ করেন গণমাধ্যমকর্মীরা।
নৌভ্রমণে অতিথি হিসেবে সঙ্গী হয়েছিলেন সময় টেলিভিশনের ন্যাশনাল ডেস্ক ইনচার্জ এম এ মান্নান মিয়া ও কেবল টিভি দর্শক ফোরাম এর কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন মুন্না এবং জাতীয় প্রেসক্লাবের সদস্য সিনিয়র সাংবাদিক মো.মোশাররফ হোসেন।
জানা গেছে, পদ্মাপাড়ের বাসিন্দা এশিয়ান টেলিভিশনের শিবচর প্রতিনিধি মো. রুবেল মোড়লের আয়োজনে এই নৌভ্রমনে শিবচরের বিভিন্ন গণমাধ্যমের অন্তত চল্লিশজন সংবাদকর্মী অংশ নেন। শিবচরের কাওড়াকান্দি ঘাট হতে পদ্মাসেতুসহ নদীর আশেপাশের চর এলাকা ভ্রমণ করেন। সূর্যাস্ত উপভোগ,কাছ থেকে পদ্মাসেতু দর্শনসহ পদ্মানদীর অপার সৌন্দর্য উপভোগ করেন সাংবাদিকেরা। এসময় ঈদের ছুটিতে পদ্মাসেতুর পাড়ে বেড়িবাঁধে হাজার হাজার দর্শনার্থীদের অবকাশ কাটাতে দেখা গেছে।
নৌভ্রমন এবং নিজের অনুভূতি ব্যক্ত করতে এসময় বক্তব্য রাখেন সময় টিভির ন্যাশনাল ডেস্ক ইনচার্জ এম এ মান্নান মিয়া, ক্যাবল টিভি দর্শক ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন মুন্না, বিজয় টেলিভিশন ও ভোরের ডাক পত্রিকার সাংবাদিক আবুল খায়ের খান, বাংলানিউজ ও আজকের পত্রিকার ইমতিয়াজ আহমেদ, দ্বীপ্ত টিভির রফিকুল ইসলাম রাজা, আমার দেশ পত্রিকার সরোয়ার হোসেন মিঠু, ডেইলি সানের দেলোয়ার হোসেন, মানবজমিন পত্রিকার বিএম হায়দার আলীসহ অন্যরা।
বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকেরা নিজেদের অনুভূতি ও আগামীতে এরকম ভ্রমণের আয়োজন অব্যাহত রাখার জন্য মতামত ব্যক্ত করেন। উপস্থিত সকল সংবাদকর্মীরা একসাথে ঐক্যবদ্ধ হয়ে থাকার প্রতিশ্রুতি প্রদান করেন।
এসময় দৈনিক জনকণ্ঠের মো. কামরুল ইসলাম, দৈনিক সকালের সময়ের নাজমুল হোসেন লাভলু, সংবাদ সারাক্ষণের সৈয়দ সালোয়ার হোসেন পথিক, আজকের দর্পণের মীর মফিজুল ইসলাম ইমরান, দৈনিক দিনকালের মতিউর রহমান, নতুন বাংলার খবরের সোবাহান মিয়া, সময়ের কণ্ঠস্বরের তামিম ইসমাইল, বাংলার নবকন্ঠের শাহীন মিয়া, দৈনিক জবাবদিহির শাহিন বিন আনিছ, নয়াদিগন্তের আহসান হাবীব শাহীন, বঙ্গ টিভির রবিন চৌধুরী, লাল সবুজের দেশের রিয়াজ রওনক, দৈনিক জনতার মো. শাখাওয়াত হোসেন মোল্লা, দৈনিক প্রভাতের আকাশ জমাদ্দার, বাংলাদেশ সমাচারের জেলা প্রতিনিধি মাসুদ রানা ও উপজেলা প্রতিনিধি তালহা জমাদ্দার, দৈনিক নিরপেক্ষর অভ্র হাসান সজিব, দৈনিক রূপসী বাংলার বজলুর রহমান ও দৈনিক হুংকারের মেহেরাব হোসেনসহ অন্যান্য ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় কর্মরত সাংবাদিকবৃন্দ নৌভ্রমণে উপস্থিত ছিলেন।
মিরাজ খান
