
ছবি: সংগৃহীত
বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীরের হাড় ও জয়েন্টে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে। বিশেষ করে ৪০ বছর পেরোনোর পর হাড়ের ঘনত্ব কমে যাওয়া, জয়েন্টের ব্যথা, চলাফেরায় অস্বস্তি বা অস্থিসন্ধিতে প্রদাহ এসব সমস্যা সাধারণ হয়ে ওঠে। তবে সময়মতো সঠিক ভিটামিন ও খনিজ গ্রহণ করলে হাড় ও জয়েন্ট দীর্ঘদিন সুস্থ রাখা সম্ভব।
চলুন জেনে নিই কোন ভিটামিনগুলো ৪০ পেরুনোদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ:
১. ভিটামিন D
-
কাজ: ক্যালসিয়াম শোষণে সহায়তা করে, হাড় মজবুত রাখে।
-
ঘাটতি হলে: হাড় দুর্বল হয়ে যায়, ভেঙে যাওয়ার ঝুঁকি বাড়ে।
-
উৎস: সূর্যের আলো, মাছের তেল, ডিমের কুসুম, দুধ।
-
পরামর্শ: নিয়মিত রোদে থাকা ও প্রয়োজনে সাপ্লিমেন্ট নিতে পারেন।
২. ভিটামিন K
-
কাজ: হাড়ের প্রোটিন (Osteocalcin) সক্রিয় করে, হাড়ের ঘনত্ব বাড়াতে সহায়তা করে।
-
উৎস: পালংশাক, ব্রকলি, কলা, বাঁধাকপি।
৩. ভিটামিন C
-
কাজ: কোলাজেন তৈরি করে, যা জয়েন্ট ও কার্টিলেজ সুস্থ রাখতে প্রয়োজনীয়।
-
উৎস: আমলকি, কমলা, লেবু, টমেটো, পেয়ারা।
৪. ভিটামিন B12
-
কাজ: হাড়ের স্বাস্থ্য রক্ষা এবং স্নায়ুতন্ত্রকে সজীব রাখতে সাহায্য করে।
-
উৎস: মাছ, মাংস, দুধ, ডিম।
-
বিশেষ পরামর্শ: নিরামিষভোজীদের B12-এর ঘাটতি বেশি হয়, তাই প্রয়োজনে সাপ্লিমেন্ট নেওয়া দরকার।
৫. ভিটামিন E
-
কাজ: অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে, জয়েন্টে প্রদাহ রোধে সহায়তা করে।
-
উৎস: বাদাম, সূর্যমুখীর তেল, সবুজ শাকসবজি।
অতিরিক্ত উপাদান (Bonus):
✅ ক্যালসিয়াম – হাড় গঠনের জন্য প্রধান খনিজ।
✅ ম্যাগনেশিয়াম ও জিঙ্ক – হাড় শক্তিশালী করে, হরমোন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
✅ ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড – জয়েন্টের প্রদাহ কমায়।
বিশেষ টিপস:
-
ধূমপান ও অ্যালকোহল হাড়ের ক্ষতি করে, এগুলো থেকে বিরত থাকুন।
-
নিয়মিত হাঁটাহাঁটি ও হালকা ব্যায়াম হাড় ও জয়েন্ট সুস্থ রাখে।
-
শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন—বেশি ওজন জয়েন্টে চাপ বাড়ায়।
চল্লিশোর্ধ্বদের জন্য হাড় ও জয়েন্টের যত্ন নেওয়া মানে শুধু চলাফেরা নয়, বরং ভবিষ্যতের সুস্থ জীবন নিশ্চিত করা। তাই প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় এই ভিটামিনগুলো রাখুন, আর প্রয়োজন হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করুন।
সায়মা