ছবিঃ সংগৃহীত
১) দখিন দ্বারা মালিকানা অর্জিত হয়। কিন্তু দখিন থাকলেই ভূমি উন্নয়ন কর দেয়া যায় না বিধায় দখিনমূলক নামজারি করে ও খতিয়ানমূলে হস্তান্তর হইতে তৈরি করে ভূমি উন্নয়ন কর দেয়া যায়।
২) ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন, ২০২৩ এর ৬ (৩) ধারা অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তি নামে দলিল সম্পাদন খতিয়ান না থাকিলে এবং হালনাগাদ ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধের দায়িত্ব প্রমাণে ব্যর্থ হলে, তিনি উক্ত ভূমি বিক্রি, দান, হেবা বা অন্য কোনোভাবে হস্তান্তর, পাওয়ার অব অ্যাটর্নি সম্পাদন বা দলিল রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন না। অর্থাৎ ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে রেকর্ড হালনাগাদ না হলে এবং ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধের দায়িত্ব যদি প্রমাণিত না হয় তবে জমির ক্রয় বা হস্তান্তর বাধাগ্রস্ত হবে।
৩) যদি আপনি ভূমি উন্নয়ন কর না দেন তাহলে অন্য লোকেরা ধরে নিতে পারে যে, আপনি মালিক নন এবং আপনার জমি নিয়ে কারসাজির করার চেষ্টা করতে পারে।
৪) রেকর্ড হালনাগাদ না থাকিলে অথবা ওয়ারিশমূলে জমি অর্জিত হলে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে রেকর্ড হালনাগাদ না করলে ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধের হাল দাখিলা না থাকলে উক্ত ভূমি ব্যাংক বা কোনো কোম্পানির প্রতারণার হতে পারে যাহা যায় না।
৫) রেকর্ড হালনাগাদ করা না থাকলে অথবা ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধের হাল দাখিলা না থাকলে আপনার নামে হাল দাখিলা বা মালিকানা সনদ প্রদান করা যাবে না।
৬) ক্রমাগত তিন বছর ভূমি উন্নয়ন কর প্রদান না করলে সার্টিফিকেট মামলা হতে পারে, জমি নিলামে উঠতে পারে এবং খাস হতে পারে। সর্বপরি মালিকের নামে হাল ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধের হাল দাখিলা না থাকলে পূর্বের মালিকের দ্বারা একই জমি পুনরায় বিক্রয়ের ঘটনাও ঘটতে পারে।
মুমু
