
রংপুরের মিঠাপুকুরে জমি বিরোধের জেরে কৃষক সলিম উদ্দিন হত্যা মামলায় ৮ জনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন রংপুরের স্পেশাল জজ হায়দার আলী। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে রায় ঘোষণা করা হয়। রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্তরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন এবং পরে তাদের কঠোর নিরাপত্তায় হাজতখানায় নেওয়া হয়।
২০১২ সালের ৭ ডিসেম্বর মিঠাপুকুরের কামালপুর গ্রামে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে আসামী আব্দুস সামাদের নেতৃত্বে সলিম উদ্দিনের ওপর হামলা চালিয়ে তাঁকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। নিহতের ছেলে আকমল হোসেন বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। পুলিশ তদন্ত শেষে ১৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জশীট দাখিল করে। ২২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য ও জেরার ভিত্তিতে আদালত আব্দুস সামাদসহ ৮ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও জরিমানা অনাদায়ে অতিরিক্ত তিন মাসের কারাদণ্ড দেন। অপর ৬ জনকে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় খালাস দেওয়া হয়েছে।
বাদীপক্ষের আইনজীবীরা বলেন, দীর্ঘদিন পর হলেও ন্যায়বিচার পাওয়া গেছে। আসামী পক্ষ উচ্চ আদালতে আপিল করবেন বলে জানায়।
বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেছেন, দলের দু:সময়ে যারা পাশে ছিলেন না, তাদের নেতৃত্বে আনা যাবে না। বিএনপির জন্য এখন সময় এসেছে হিসেব-নিকেশ করার।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে রংপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমীতে সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কর্মসূচীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ১৯৪৭, ১৯৭১, ১৯৭৫, ১৯৯০-এর ঐতিহাসিক ঘটনাগুলো ভুললে আবার স্বৈরাচার ফিরে আসবে। তাই দলের সদস্য সংগ্রহে যাচাই-বাছাই করে সমাজে সম্মানিত ও যোগ্য ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, বিগত ১৬ বছরে যারা সুবিধাভোগী ছিল, তাদের নতুন করে অন্তর্ভুক্ত করা যাবে না। প্রাক্তন শিক্ষক ও বিভিন্ন পেশাজীবীদের দলের সদস্য হিসেবে উৎসাহিত করতে হবে। অনুষ্ঠানে বিএনপির রংপুর বিভাগের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
আঁখি