
রাস্তায় বিক্রি হচ্ছে ডেউয়া ফল
পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ এ ফল অনেকের কাছেই অপরিচিত। প্রতি ১০০ গ্রাম ডেউয়ায় থাকে—
-
খনিজ: ০.৮ গ্রাম
-
খাদ্যশক্তি: ৬৬ কিলোক্যালরি
-
আমিষ: ০.৭ গ্রাম
-
শর্করা: ১৩.৩ গ্রাম
-
ক্যালসিয়াম: ৫০ মিলিগ্রাম
-
লৌহ: ০.৫ মিলিগ্রাম
-
ভিটামিন বি১: ০.০২ মিলিগ্রাম
-
ভিটামিন বি২: ০.১৫ মিলিগ্রাম
-
ভিটামিন সি: ১৩৫ মিলিগ্রাম
-
পটাশিয়াম: ৩৪৮.৩৩ মিলিগ্রাম
ডেউয়া ফলের নানা উপকারিতা
ওজন কমাতে সাহায্য করে: ঠান্ডা পানিতে ডেউয়া রস মিশিয়ে খেলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে। শুকিয়ে সংরক্ষণ করেও খাওয়া যায় সারা বছর।
বমিভাব দূর করে: এর টক-মিষ্টি স্বাদ বমিভাব কমাতে কার্যকর।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে: ৮-১০ গ্রাম কাঁচা ডেউয়া বেটে গরম পানিতে ভিজিয়ে রেখে সেই পানি সকালে খালি পেটে খেলে উপকার মিলবে।
হাড়ের ক্ষয়রোগ প্রতিরোধে কার্যকর: এতে আছে প্রচুর ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন সি, যা দাঁত ও হাড়কে শক্তিশালী করে।
স্ট্রোক ও হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমায়: পটাশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।
লবণ ও গোলমরিচ গুঁড়ার সঙ্গে ডেউয়ার রস খেলে মুখে রুচি ফিরে আসে।
পেটের গ্যাস দূর করে: দেড় চামচ পাকা ডেউয়ার রস আধা কাপ পানিতে মিশিয়ে এক সপ্তাহ খেলে পেটের বায়ু জমার সমস্যা কমে।
ত্বকের যত্নে: ডেউয়াগাছের ছালের গুঁড়া ব্রণের পুঁজ বের করে দিতে সহায়তা করে এবং ত্বকের রুক্ষতা দূর করে।
সানস্ট্রোক প্রতিরোধে: মরিচ, লবণ ও চিনি দিয়ে তৈরি ডেউয়ার ভর্তা খেলে সানস্ট্রোকের ঝুঁকি কমে।
এ ছাড়া ডেউয়া খেলে স্মৃতিশক্তি বাড়ে, অতিরিক্ত তৃষ্ণা কমায়। পাকা ডেউয়া যকৃতের কার্যকারিতা বাড়াতে সহায়তা করে এবং পিত্ত ও লিভারের নানা ধরনের সমস্যার প্রতিকারে কাজে আসে।
গ্রামের এ ঐতিহ্যবাহী ফলটিকে নতুন করে গুরুত্ব না দিলে হয়তো একদিন হারিয়েই যাবে। অথচ এর পুষ্টিগুণ ও ভেষজ উপকারিতা আমাদের দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় রাখার মতোই মূল্যবান।
সাব্বির