
ভারতের জন্য কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ শিলিগুড়ি করিডর বা ‘চিকেনস নেক’ নিয়ে আবারও উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। সম্প্রতি বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের সম্পর্ক এবং ড. ইউনুসের বঙ্গোপসাগর সংক্রান্ত বক্তব্যের পর এই করিডরে রাফাল যুদ্ধবিমান ও রাশিয়ার তৈরি এস-৪০০ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম মোতায়েন করেছে ভারত।
ভারতের একমাত্র উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর সঙ্গে মূল ভূখণ্ডের সংযোগ এই শিলিগুড়ি করিডর। এখানে রাফাল ও এস-৪০০ মোতায়েনের অর্থ, ভারতের সবচেয়ে আধুনিক অস্ত্র এখন এই করিডর পাহারায়। ভারতের গণমাধ্যমগুলোর মতে, এটি প্রতিবেশী দেশগুলোর জন্য একটি কূটনৈতিক বার্তা।
বিশ্লেষকদের মতে, চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ঘনিষ্ঠতা এবং ড. ইউনুসের ‘বঙ্গোপসাগরের একমাত্র অভিভাবক বাংলাদেশ’ মন্তব্য ভারতের মধ্যে কূটনৈতিক চাপ বাড়িয়েছে। একইসঙ্গে বাংলাদেশ তুরস্ক থেকে ১২টি Bayraktar TB2 ড্রোন সংগ্রহ করেছে বলেও দাবি ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর। এর ফলে ভারতের সন্দেহ বাংলাদেশ ও চীন মিলে উত্তরাঞ্চল ও বঙ্গোপসাগরে ভারতের ওপর নজরদারির ব্যবস্থা করছে।
রাফাল যুদ্ধবিমান: ফ্রান্সের তৈরি সুপারসনিক মাল্টিরোল জেট, আধুনিকতম প্রযুক্তিতে সজ্জিত। এস-৪০০ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম: রাশিয়ার তৈরি, ৪০০ কিমি দূরত্ব পর্যন্ত একাধিক লক্ষ্যবস্তু ভেদে সক্ষম প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা।
ভারতের ভয় বাংলাদেশের "চিকেন স্নেক"!
আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা দাবি করেছেন, বাংলাদেশের ভেতরেও এমন দুটি "চিকেন স্নেক" করিডর আছে
১. উত্তরাঞ্চলের করিডর, যেখান থেকে রংপুর বিচ্ছিন্ন হতে পারে।
২. দক্ষিণ ত্রিপুরার কাছে চট্টগ্রাম করিডোর, যেটি ভারতের করিডরের চেয়েও সরু।
বিশ্লেষকদের মতে, এসব মন্তব্য ভারতের কৌশলগত দুর্বলতা ঢাকার চেষ্টা ছাড়া আর কিছু নয়।
বাংলাদেশ ও চীনের ঘনিষ্ঠতা, চট্টগ্রাম ও লালমনিরহাট নিয়ে পরিকল্পনা এবং আন্তর্জাতিক ভূ-রাজনীতিতে পরিবর্তন ভারতকে উদ্বিগ্ন করে তুলেছে। শিলিগুড়ি করিডরের সামরিকীকরণ সেই আতঙ্কেরই বহিঃপ্রকাশ বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা।
আঁখি