
ছবিঃ সংগৃহীত
গ্রীষ্মের তীব্র দাবদাহে শরীর থেকে অনবরত ঘাম ঝরছে, আর এই ঘাম শরীরেই শুকিয়ে ডেকে আনছে জ্বর। ঘরে ঘরে বাড়ছে জ্বরের প্রকোপ, যা থেকে মুক্তি পেতে অনেকেই হুট করে অ্যান্টিবায়োটিক সেবন শুরু করে দেন। কিন্তু বিশেষজ্ঞের পরামর্শ ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার গুরুতর জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে, এমনকি ড্রাগ রেজিস্টেন্সও তৈরি হয়। তাই জ্বর কমাতে কিছু সহজ ঘরোয়া টোটকা অনুসরণ করা বুদ্ধিমানের কাজ।
জ্বরের মোকাবিলায় কিছু জরুরি টিপস:
-
জলপট্টিই প্রধান অস্ত্র: জ্বর তীব্র হলে দ্রুত শরীরের তাপমাত্রা কমাতে জলপট্টি ব্যবহার করুন। ঠান্ডা পানিতে কাপড় ভিজিয়ে কপালে রাখুন, প্রয়োজনে পুরো শরীর মুছে দিন। এটি গবেষণায় প্রমাণিত একটি কার্যকরী পদ্ধতি, বিশেষ করে ভাইরাল জ্বরের ক্ষেত্রে।
-
প্রচুর পরিমাণে তরল পান: জ্বরের সময় শরীর দ্রুত পানিশূন্য হয়ে পড়ে, যা ডিহাইড্রেশন নামে পরিচিত। তাই পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করুন। শুধু জল নয়, জুস, স্পোর্টস ড্রিংকস, সুপ এবং চা-ও উপকারী। সম্ভব হলে দিনে একবার ডাবের পানি পান করুন, যা দ্রুত সুস্থ হতে সাহায্য করবে। প্রয়োজনে ওআরএস (ORS) গ্রহণ করতে পারেন।
-
পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন: জ্বরের সময় শরীরকে পর্যাপ্ত বিশ্রাম দেওয়া অত্যন্ত জরুরি। কাজের অজুহাতে শরীরকে অতিরিক্ত চাপ দেবেন না। গবেষণা বলছে, জ্বরের সময় বিশ্রাম নিলে শরীর দ্রুত সেরে ওঠে। তাই কিছুদিনের জন্য কাজ থেকে বিরতি নিয়ে পর্যাপ্ত ঘুম (৮-৯ ঘণ্টা) নিশ্চিত করুন।
-
আদা চা মোক্ষম দাওয়াই: আদার সক্রিয় উপাদান 'জিজ্ঞেরল' জ্বর, সর্দি, কাশির মতো সমস্যা কমাতে অত্যন্ত কার্যকর। চায়ে সামান্য আদা মিশিয়ে দিনে দু'কাপ পর্যন্ত পান করতে পারেন। তবে অতিরিক্ত চা পান ঘুমের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। এর পাশাপাশি, দ্রুত সুস্থ হতে খাদ্যতালিকায় ফল ও শাকসবজি অন্তর্ভুক্ত করুন।
কখন ডাক্তারের পরামর্শ নেবেন?
যদি এক থেকে দুই দিনের মধ্যে জ্বর না কমে অথবা অবস্থার অবনতি হয়, তবে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। সঠিক রোগ নির্ণয় এবং তার ভিত্তিতে চিকিৎসা গ্রহণ দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠার জন্য অপরিহার্য। মনে রাখবেন, শরীরের প্রতি যত্নশীল হওয়া এবং সঠিক সময়ে চিকিৎসকের দ্বারস্থ হওয়া সুস্থ জীবনযাপনের মূল চাবিকাঠি।
সাব্বির