
ছবিঃ সংগৃহীত
বিলুপ্ত হয়েছে জমিদারি প্রথা, তবে ইতিহাসের পাতায় আর নিঃশব্দ দেয়ালে আজও কথা বলে যায় সেই সুসময়ের স্থাপত্য। সময়ের সাক্ষী হয়ে কুমিল্লার মুরাদনগরে দাঁড়িয়ে আছে পাঁচটি জমিদার বাড়ি—যা হতে পারে ইতিহাসপিপাসু এবং ভ্রমণপ্রেমীদের জন্য এক অনন্য গন্তব্য।
বিভিন্ন সময়ের প্রভাবশালী জমিদারদের গড়া এ বাড়িগুলো শুধু স্থাপত্য নয়, একেকটি ইতিহাসের জীবন্ত দলিল। ঢাকার ব্যস্ততা ছেড়ে ছুটির দিনে পরিবার বা বন্ধুদের নিয়ে ঘুরে আসতে পারেন এই ঐতিহাসিক জমিদার বাড়িগুলো থেকে—যেখানে সময় থেমে আছে পুরনো গল্পের অপেক্ষায়।
১. জাহাপুর জমিদার বাড়ি
নির্মাতা: কমলাকান্ত রায় (প্রায় ৪০০ বছর পূর্বে)
বৈশিষ্ট্য: প্রবেশমুখে সিংহদ্বার, বিশাল জগন্নাথ মন্দির, বহু প্রাচীন সামগ্রী
যেভাবে যাবেন: কুমিল্লা-সিলেট রোডে পান্নারপুল স্টেশনে নেমে সিএনজিতে ১৫ মিনিট
২. বাঙ্গরা রূপবাবু জমিদার বাড়ি
প্রতিষ্ঠা: প্রায় ২৫০ বছর পূর্বে
ইতিহাস: শিক্ষা ও চিকিৎসায় অনন্য অবদান; শান্তমনি দেবীর নামে দাতব্য চিকিৎসালয়
যেভাবে যাবেন: কোম্পানীগঞ্জ থেকে নিউ জনতা বাসে ১০ কিমি, ভাড়া ২০ টাকা
৩. মেটংঘর দারিক সাহা জমিদার বাড়ি
উল্লেখযোগ্য: বর্তমান প্রজন্ম ঢাকায়, বাড়িতে রয়েছেন ৯৫ বছরের চম্পক লতা রায়
যেভাবে যাবেন: কোম্পানীগঞ্জ থেকে ১০ কিমি নিউ জনতা বাসে, এরপর অটোরিকশায় ৭ মিনিট
৪. থোল্লার মীর আশরাফ আলী জমিদার বাড়ি
প্রাচীন নাম: বরদাখাত পরগণা
সংযোগ: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হল এলাকায় ছিল তাদের বাসভবন
যেভাবে যাবেন: কোম্পানীগঞ্জ থেকে ১ কিমি, সিএনজিতে ১০ টাকা ভাড়ায়
৫. ছালিয়াকান্দি জমিদার বাড়ি
মালিক: গিরিশ চন্দ্র রায়
আকর্ষণ: তিনতলা বিশাল বাড়ি, জমিদার ঐশ্বর্যের নিদর্শন
যেভাবে যাবেন: ইলিয়টগঞ্জ হয়ে বাখরাবাদ রোডে, ভাড়া ২০ টাকা
সময় থাকতে সংরক্ষণ দরকার!
স্থানীয় সুশীল সমাজের দাবি, সরকারের পক্ষ থেকে যদি দ্রুত সংরক্ষণে উদ্যোগ নেওয়া না হয়, তাহলে কালের গহ্বরে হারিয়ে যাবে এসব ইতিহাসের স্মৃতি। তাই এই বাড়িগুলোকে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে রূপ দেওয়ার পাশাপাশি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য সংরক্ষণ করা এখন সময়ের দাবি।
ইমরান