
ছবি: জনকণ্ঠ
সাঁওতাল তরুণদের মধ্যে এক নতুন আশার নাম মার্টিন গ্রিন হাঁসদা। জন্ম রাজশাহীর কয়েরদারা খ্রিস্টানপাড়ায় হলেও বর্তমানে ভারতীয় পাঞ্জাব রাজ্যের চন্দিগড় ইউনিভার্সিটিতে জার্নালিজম (সাংবাদিকতা) বিভাগে পড়াশোনা করছেন তিনি।
পড়ালেখার পাশাপাশি গানকে হৃদয় দিয়ে ভালোবাসেন এই সৃষ্টিশীল তরুণ শিল্পী। সেই ভালোবাসারই অনুভব প্রকাশ ঘটেছে তার সদ্য প্রকাশিত নতুন সাঁওতালি গানে—উটাং ইনাম যে, যার অর্থ “উড়ে (হারিয়ে) গেলা যে…”
গানটি প্রকাশ পেয়েছে ২৩ মে, ইউটিউব প্ল্যাটফর্মে। প্রকাশের পর থেকেই সাঁওতাল সমাজসহ বিভিন্ন মহলে গানটি দারুণ প্রশংসিত হচ্ছে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঘেরা সাঁওতালি জনপদ, নদী, গ্রাম এবং সংস্কৃতির প্রেক্ষাপটে রচিত এই গানটি তুলে ধরেছে এক সাঁওতাল যুবকের হৃদয়ের অনুভব। তার কণ্ঠে ও গানে যেন প্রতিফলিত হয়েছে সাঁওতাল সমাজের প্রেম, আবেগ ও ঐতিহ্য।
জনকন্ঠকে ফোনালাপে মার্টিন জানান, “গান লেখা, সুর করা ও গাওয়া সবকিছুতেই আমার একটা আবেগ কাজ করে। আমি চাচ্ছি আমার ভাষাকে, আমার সংস্কৃতিকে আরও সামনে তুলে ধরতে। ‘উটাং ইনাম যে’ গানটি তৈরি করেছি হৃদয় দিয়ে, সাঁওতালি প্রেমকে এক নতুন দৃষ্টিকোণ থেকে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।”
মার্টিনের এটি তৃতীয় গান। এর আগেও তার দুইটি সাঁওতালি গানগুলোতে পেয়েছেন শ্রোতাদের উষ্ণ সাড়া। তবে “উটাং ইনাম যে” যেন তার শিল্পীজীবনের এক নতুন বাঁক।
তিনি বলেন, “সত্যি বলতে, গানটি যারা শুনেছেন তারা ভালো বলছেন, মন্তব্য করছেন। এটা আমাকে আরও উৎসাহ দিচ্ছে, ভবিষ্যতে আরও ভালো গান উপহার দিতে চাই।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনার চাপে থেকেও নিয়মিত গানচর্চা করেন মার্টিন।
মার্টিন গ্রিন হাঁসদা —যিনি প্রমাণ করছেন, নিজের সংস্কৃতি ও ভাষা নিয়ে গর্ব করে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব, বিশ্বমঞ্চেও।
মুমু