
ছবি: সংগৃহীত।
সংগীতশিল্পী মাইনুল আহসান নোবেলের বিরুদ্ধে ইডেন কলেজের এক ছাত্রীকে ছয় মাস ধরে আটকে রেখে ধর্ষণ ও শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগে মামলা হয়েছে। অভিযোগকারিণী তরুণী বর্তমানে চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা, এমনটি মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২০ মে) দুপুর ২টা ৪৫ মিনিটে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়া উদ্দিন আহমদের আদালতে নোবেলকে হাজির করে ডেমরা থানা পুলিশ। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. মুরাদ হোসেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে নোবেলকে কারাগারে রাখার আবেদন জানান। আদালত শুনানি শেষে নোবেলকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
নোবেলের আইনজীবী জসিম উদ্দীন আদালতে দাবি করেন, “বাদী নোবেলের স্ত্রী। তারা একসাথে বসবাস করতেন এবং সংসার করছিলেন। শুধুমাত্র ভুল বোঝাবুঝির কারণে এই মামলা হয়েছে। বাদী চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা।”
তিনি বলেন, “আমরা এখনো কাবিননামা উপস্থাপন করতে পারিনি, তবে সময় পেলে তা আদালতে পেশ করা হবে।”
ভুক্তভোগীর পরিবারের পক্ষ থেকে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন করার পর সোমবার (১৯ মে) রাতে রাজধানীর ডেমরা থেকে অভিযানে তরুণীকে উদ্ধার ও নোবেলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। একটি ভিডিওতে নোবেলকে তরুণীকে সিঁড়ি দিয়ে টেনে নামাতে দেখা যাওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি ছড়িয়ে পড়ে।
পুলিশ জানিয়েছে, নোবেল পালানোর চেষ্টা করছিলেন, এমনকি এজন্য একটি মাইক্রোবাসও ভাড়া করেছিলেন। তবে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় রাতেই তাকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়।
এর আগেও বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের জন্য নোবেলকে ২০২৩ সালে প্রতারণার মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। অভিযোগ ছিল, একটি অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের অঙ্গীকার করে অর্থ গ্রহণ করলেও তিনি উপস্থিত হননি।
নুসরাত