
ছবি :সংগৃহীত
স্বামীর বিরুদ্ধে কয়েক মাস পর পর বিয়ের অভিযোগ করেছেন ক্রিকেটার রুবেলের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনে আলোচনায় আসা সাবেক মডেল-অভিনেত্রী নাজনীন আক্তার হ্যাপি।
ইসলামি শিক্ষায় দীক্ষিত হয়ে মিডিয়া জগৎ থেকে বিদায় নেওয়া সাবেক মডেল ও অভিনেত্রী নাজনীন আক্তার হ্যাপি এবার তার স্বামী মুফতি মোহাম্মদ তালহার বিরুদ্ধে ৯টি বিয়ের অভিযোগ এনেছেন। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা করেছেন তিনি। মামলায় হ্যাপি অভিযোগ করেছেন, তালহা তাকে নিয়মিত শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন এবং কমপক্ষে ৯টি বিয়ে করেছেন।
একটি ব্যক্তিগত ফেসবুক পোস্টে হ্যাপি লেখেন, বিয়ের পর থেকেই তালহার আসল চরিত্র সামনে আসতে থাকে। তিনি একাধিকবার তালাক চাইলে, এর জবাবে স্বামীর আচরণ হয়ে ওঠে সহিংস। হ্যাপির ভাষায়, “তালাক চাইলে আমাকে মারধর করত, তা একবার নয়, বারবার। শরিয়ত অনুযায়ী আমার নিজ থেকে তালাক দেওয়ার অধিকার নেই, আর তালাক চাইলে সে দাবী করত ৫০ লাখ বা ১ কোটি টাকা, কিংবা সন্তানের সারাজীবনের দায়িত্ব ছেড়ে দিতে হবে।”
তিনি আরও জানান, বিয়ের পর তালহার পরিবার তাকে মেনে না নেওয়ায় তিনি স্বামীর সব দায়িত্ব নিজেই কাঁধে তুলে নেন। হ্যাপির ভাষায়, “সে আমার বাসায় উঠে, উবার চালাত, আমি তাকে সাপোর্ট দিয়েছি। আমার ব্যবসার টাকা সংসারে ব্যয় করেছি। কিন্তু পরে জানতে পারি, সে একাধিক নারীর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলেছে এবং তাদের পেছনে টাকা খরচ করছে।”
তিনি অভিযোগ করেন, “তালহার উপার্জনের টাকা কখনো সংসারে খরচ হয়নি, বরং মেয়েদের পেছনে ব্যয় হয়েছে। আমার ও সন্তানের জন্য কখনো খরচ করেনি।” হ্যাপি বলেন, “তার সহিংস আচরণের ভিডিও প্রমাণ রাখা সম্ভব হয়নি, কারণ রক্তাক্ত অবস্থায় মেঝেতে পড়ে থাকা অবস্থায় কেউ ভিডিও করতে পারে না।”
অন্যদিকে, তালহার আইনজীবী অ্যাডভোকেট ফয়জুল্লাহ ফয়েজ হ্যাপির সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি দাবি করেন, তালহার একাধিক বিয়ের বিষয়টি হ্যাপি আগে থেকেই জানতেন এবং কিছু ক্ষেত্রে “সরাসরি সহযোগিতাও করেছিলেন।” আইনজীবীর ভাষ্য, “তালহা স্বাবলম্বী হতে পারার পেছনে হ্যাপির অবদান থাকলেও গত ৫-৬ বছরে তালহা হ্যাপি ও তার পরিবারের জন্য বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় করেছেন, যা হ্যাপি স্বীকার করছেন না।”
তিনি আরও বলেন, হ্যাপি তাদের সন্তানের অসুস্থতাকে এখন নির্যাতনের প্রমাণ হিসেবে দেখাচ্ছেন, যা সঠিক নয়। “তালহা কখনো তার স্ত্রীকে মারধর করেননি,” দাবি করেন তিনি।
আইনজীবী ফয়েজের মতে, “গত এক সপ্তাহেই হ্যাপি তার স্বামীর কাছ থেকে ৮ লাখ ১৮ হাজার টাকা নিয়েছেন, অথচ এখন যৌতুক মামলাও দায়ের করেছেন।” তার মন্তব্য, “শুধু পোশাক পরিবর্তন করলেই কাউকে বিশ্বাসযোগ্য ভাবা কতটা বড় ভুল—তালহা এখন সেটা উপলব্ধি করছেন।”
সা/ই