
ছবি: সংগৃহীত
সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিদেশে পড়াশোনার আগ্রহ অনেক বেড়েছে। ইউনেস্কোর তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে প্রায় ৫২,৮০০ জন বাংলাদেশি শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে গিয়েছেন, যেখানে ২০২২ সালে এই সংখ্যা ছিল প্রায় ৪৯,১৫০ জন। তবে এর বেশিরভাগই নিজের খরচে কোর্সওয়ার্ক ভিত্তিক প্রোগ্রামে ভর্তি হয়েছেন। খুব কম সংখ্যক শিক্ষার্থীই গবেষণামূলক বা স্কলারশিপসহ উচ্চশিক্ষার সুযোগ পেয়েছেন।
এই সমস্যার সমাধানে কাজ করছে 'রিসার্চ এক্সপার্ট', একটি আন্তর্জাতিক শিক্ষা ও গবেষণা সহায়তা প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানটি শিক্ষার্থীদের গবেষণা, স্কলারশিপ আবেদন ও বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য সঠিক দিকনির্দেশনা দিয়ে সাহায্য করছে। দেশি-বিদেশি গবেষকদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে, রিসার্চ এক্সপার্ট শিক্ষার্থীদের একাডেমিক যাত্রাকে সহজ ও সফল করে তুলতে কাজ করছে।
রিসার্চ এক্সপার্ট সম্প্রতি গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যারিয়ার ক্লাবের সঙ্গে মিলে "Write to Publish: A Researcher's Journey" নামে একটি দুইদিনের অনলাইন ওয়াশিপের আয়োজন করে। এই ওয়ার্কশপটি ২৮ ও ২৯ মে রাত ৮:৩০ থেকে ৯:৩০ পর্যন্ত গুগল মিটে অনুষ্ঠিত হয়। 'রিসার্চ এক্সপার্ট টিমের শাহরান ইয়াকিন অনিমের সঞ্চালনায় এই কর্মশালাটি পরিচালনা করেছেন অস্ট্রেলিয়ার সুইনবার্ন ইউনিভার্সিটি পিএইচডি ক্যান্ডিডেট তাহসিন আঞ্জুম এবং ইউনিভার্সিটি অফ মালায়া থেকে তাহের হাসান নাকিব।
এই ওয়ার্কশপে শিক্ষার্থীদের রিসার্চ পেপার লেখার বিভিন্ন ধাপ নিয়ে আলোচনা করা হয়- যেমন কীভাবে একটি ভালো রিসার্চ পেপার তৈরি করতে হয়, কোন জার্নালে পাঠাতে হবে, রিভিউ প্রক্রিয়া কেমন, এবং কীভাবে লেখার মান উন্নত করা যায়। প্রায় ১০০ জন শিক্ষার্থী এই ওয়ার্কশপে অংশগ্রহণ করেন। এতে বোঝা যায়, বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের মধ্যে গবেষণা ও প্রকাশনার প্রতি আগ্রহ ধীরে ধীরে বাড়ছে।
এই ধরনের উদ্যোগ শিক্ষার্থীদের আত্মবিশ্বাস বাড়ায় এবং বিদেশে উচ্চশিক্ষার সুযোগ পেতে বাস্তব সহায়তা করে। অনেক সময় যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও কেবল সঠিক দিকনির্দেশনা বা প্রস্তুতির অভাবে অনেক শিক্ষার্থী গবেষণামূলক স্কলারশিপ অর্জন করতে পারে না। রিসার্চ এক্সপার্ট সেই জায়গায় কার্যকরভাবে পাশে দাঁড়ায়-শুধু তথ্য বা পরামর্শ দিয়ে নয়, বরং হাতে-কলমে গবেষণার পথচলায় পাশে থেকে। রিসার্চ এক্সপার্ট ভবিষ্যতেও দেশের বিভিন্ন সঙ্গে যৌথভাবে আরও কার্যকর ও ফলপ্রসূ প্রোগ্রাম পরিচালনা করবে। তাদের লক্ষ্য, আগ্রহী ও প্রতিভাবান শিক্ষার্থীরা যেন আন্তর্জাতিক মানের গবেষণা, লেখালেখি ও একাডেমিক দক্ষতার মাধ্যমে বিশ্বজুড়ে নিজেদের প্রতিভা তুলে ধরতে পারে।
শিহাব