ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র স্বীকৃতি নিয়ে আরব বিশ্বের নতুন কূটনৈতিক উদ্যোগে বড় ধাক্কা দিল ইসরায়েল। রোববার (১ জুন) রামাল্লায় ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সৌদি নেতৃত্বাধীন ছয়টি মুসলিম দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। তবে অধিকৃত পশ্চিম তীরে প্রবেশের জন্য ইসরায়েলি সরকার অনুমতি না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়েছেন এক জ্যেষ্ঠ ইসরায়েলি কর্মকর্তা।
সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান নিজেই এই সফরের আয়োজক ছিলেন। সফরে অংশ নেওয়ার কথা ছিল সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, মিসর, জর্ডান, কাতার ও তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের। ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গে বৈঠকের মাধ্যমে এই প্রতিনিধি দলটি ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির পক্ষে সমর্থন জোগাতে চেয়েছিল।
ফিলিস্তিনের কর্মকর্তাদের বরাতে জানা গেছে, জর্ডান থেকে দুইটি হেলিকপ্টারে করে প্রতিনিধি দলটি রামাল্লায় আসার কথা ছিল। তবে ইসরায়েলের অনুমতি ছাড়া অধিকৃত পশ্চিম তীরে এই ধরনের সফর সম্ভব নয়। দীর্ঘ আলোচনা ও বিতর্কের পর শুক্রবার ইসরায়েলি মন্ত্রিসভা এই সফরটি আটকে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
ইসরায়েলের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, “এই বৈঠক মূলত একটি চ্যালেঞ্জিং প্রচেষ্টা, যার লক্ষ্য ছিল একটি ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার বার্তা দেওয়া।” তিনি দাবি করেন, “এমন একটি রাষ্ট্র ইসরায়েলের মাঝখানে একটি সন্ত্রাসী রাষ্ট্র হয়ে দাঁড়াবে। ইসরায়েল এমন কোনো উদ্যোগে অংশ নেবে না, যা তার নিরাপত্তার জন্য হুমকি।”
নেতানিয়াহুর সরকার স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের তীব্র বিরোধী এবং গত দুই বছরে পশ্চিম তীরে দখলদারিত্ব আরও জোরদার করেছে। সম্প্রতি তারা ২২টি নতুন বসতি স্থাপনের অনুমোদন দিয়েছে এবং হাজার হাজার নতুন বসতি স্থাপনকারী ইউনিট তৈরি করছে। পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ইসরায়েলি বসতকারীদের সহিংসতা অব্যাহত রয়েছে, যা ঠেকাতে তেমন কোনো পদক্ষেপ নেয়নি সরকার। বরং অনেক মন্ত্রী প্রকাশ্যে এসব দখলদারদের সমর্থন দিচ্ছেন।
সূত্র - https://www.axios.com/2025/05/30/israel-blocks-saudi-arab-visit-palestine
সানজানা
