ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

বেসিস সফট এক্সপো

গবেষণায় কাজ করবে বাংলাদেশী রোবট ‘ব্র্যাকইউ ডুবুরি’

অর্থনৈতিক রিপোর্টার

প্রকাশিত: ০১:৩০, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

গবেষণায় কাজ করবে বাংলাদেশী রোবট ‘ব্র্যাকইউ ডুবুরি’

‘ব্র্যাকইউ ডুবুরি’ রোবটটি তৈরি করেছে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল তরুণ

নদীমাতৃক বাংলাদেশে নৌপথে ঘটা দুর্ঘটনায় উদ্ধার তৎপরতা চালাতে নির্ভর করতে হয় ডুবুরিদের ওপর। অনেক সময় দুর্গম হওয়ায় অথবা প্রতিকূল পরিস্থিতিতে নদীর তলদেশে পৌঁছে উদ্ধার কার্যক্রমে বেশ বেগ পেতে হয়। আর এ সমস্যা সমাধানে ডুবন্ত মানুষকে উদ্ধার ও গবেষণায় কাজ করতে বাংলাদেশে তৈরি হয়েছে রোবট, যার নাম ‘ব্র্যাকইউ ডুবুরি’। রোবটটি তৈরি করেছে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল তরুণ।

নির্মাতাদের দাবি নৌযান দুর্ঘটনায় অনেক ক্ষেত্রে নদীর গভীরে মানুষ ও লঞ্চ হারিয়ে যায়। সেসব গভীরে সাধারণ ডুবুরিদের পক্ষে যাওয়া সম্ভব হয় না। বিষয়টি বেশ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে দাঁড়ায়। এই ক্ষেত্রে ‘ব্র্যাকইউ ডুবুরি’ কার্যকর ভূমিকা রাখবে। এছাড়া গভীর সমুদ্রে কোরাল রিসার্চে সহায়তা করবে এই অটোমেটেড আন্ডারওয়াটার রোবট।  
শনিবার রাজধানীর পূর্বাচলে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী কেন্দ্রে ১৭তম বেসিস সফট এক্সপো- ২০২৩ এ প্রদর্শনীর জন্য আনা হয় রোবটটি। দক্ষিণ এশিয়ার তথ্যপ্রযুক্তির সবচেয়ে বড় আয়োজন বেসিস সফট এক্সপো।
প্রদর্শনীতে ‘ব্র্যাকইউ ডুবুরি’র ভাইস টিম লিডার মাহ্ফুজুল হক বলের, বাংলাদেশে প্রথম কোনো অটোমেটেড আন্ডারওয়াটার রোবট এটি। এটি তৈরির পেছনের গল্প হচ্ছে, দেশে লঞ্চডুবিতে অনেক মানুষ মারা যায়। অনেক সময় এসব লঞ্চ হারিয়ে যায়। সবক্ষেত্র সাধারণ ডুবুরিদের পক্ষে হারিয়ে যাওয়া লঞ্চ খুঁজে পাওয়া সম্ভব হয় না। এমন সব বিষয়কে মাথায় রেখে রোবট ডুবুরি হিসেবে এই রোবটটি বানানো হয়েছে। যেখানে মানুষ ডুবুরির অনেক সীমাবদ্ধতাকে এড়িয়ে উদ্ধার কাজ করবে রোবর্ট ডুবুরি।
এই রোবট ডুবুরি দিয়ে সমুদ্রে কোরাল রিসার্চ করা যাবে জানিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশের ডুবুরিদের কোরাল রিসার্চ করার জন্য কোনো পারমিশন দেয় না ইউএনডিপি। আমরা চিন্তা করেছি, যদি এরকম একটা রোবট তৈরি করতে পারি যেটা কোরাল রিসার্চে সহযোগিতা করবে। ২০১৮ সাল থেকে ব্রাকইউ ডুবুরি প্রজেক্ট নিয়ে কাজ করছেন জানিয়ে মাহ্ফুজুল হক বলেন, এই প্রজেক্টে শুরুর দিকে চারজন কাজ করেছেন।

সদস্যদের অনেকেই বিশ্ববিদ্যালয় জীবন শেষ করে পেশাজীবনে প্রবেশ করেছেন। ফলে প্রজেক্টে যুক্ত হয়েছেন নতুনরা। বর্তমানে আমাদের টিম মেম্বার সংখ্যা প্রায় ৪০।  তিনি আরও বলেন, আমাদের এই প্রজেক্টটা করার বেশ কিছু লক্ষ্য আছে। যার মধ্যে প্রধান হচ্ছে কোরাল রিসার্চ। সেন্টমার্টিনে যেসক কোরাল আছে সেগুলোর ছবি তুলে আনা বা তার ইনফরমেশন ডাটা আনা।

×