.
বাংলাদেশ এবং তুরস্কের মধ্যকার বাণিজ্যের পরিমাণ ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। এটি ইতোমধ্যেই এক বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করে ১ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি পৌঁছেছে। আমরা আশা করি, নিকট ভবিষ্যতে এটি ২ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে। বাংলাদেশ ও তুরস্কের ক‚টনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ২২ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর বারিধারায় তুরস্কের রাষ্ট্রদূত রামিস সেনের বাসভবনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান এ কথা বলেছেন। তিনি আরও বলেন, ভৌগোলিক অবস্থান, আর্থ-সামাজিক অবস্থা এবং বর্তমান সরকারের উদার ও বিনিয়োগবান্ধব নীতির কারণে বাংলাদেশ ব্যবসায়ী এবং বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি কাক্সিক্ষত গন্তব্য। ইপিজেড ও ১০০ অর্থনৈতিক অঞ্চলে জায়গা দেওয়া, ট্যাক্স হলিডে সুবিধা প্রদান, মূলধন ও মুনাফার সম্পূর্ণ প্রত্যাবর্তন এবং সার্বভৌম গ্যারান্টি বাংলাদেশকে বিনিয়োগকারীদের স্বর্গে পরিণত করেছে। তুরস্কের বিনিয়োগকারীরা চাইলে সেই সুবিধা গ্রহণ করতে পারেন।
আমি তাদেরকে বাংলাদেশে পর্যটন, হাইটেক পার্কসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিনিয়োগের আহবান জানাচ্ছি। চমৎকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের কারণেই আমরা দুই দেশ বহুমুখী কর্মকান্ড ও বিনিময়ে যুক্ত হয়েছি। পাশাপাশি একে অপরের বিপদের সময় সমর্থন নিয়ে পাশে দাঁড়াই। এখানে স্মরণযোগ্য যে, ২০২৩ সালের ফেব্রæয়ারিতে তুরস্কের গাজিয়ানতেপ প্রদেশ ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাৎক্ষণিকভাবে একটি সার্চ, রেসকিউ টিম এবং চিকিৎসা সহায়তাসহ মানবিক সহায়তা প্রেরণ করেন। এটি আমাদের বন্ধুত্ব এবং পারস্পরিক সমর্থনের একটি প্রতীক মাত্র।
অর্থনীতি ডেস্ক