ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫, ১০ আষাঢ় ১৪৩২

ওয়াল স্ট্রিট ছেড়ে ঘরে বসে টিউশনি, ঘণ্টায় আয় ১ লাখ ২০ হাজার টাকা!

প্রকাশিত: ১০:১৪, ২৪ জুন ২০২৫

ওয়াল স্ট্রিট ছেড়ে ঘরে বসে টিউশনি, ঘণ্টায় আয় ১ লাখ ২০ হাজার টাকা!

ছবি: সংগৃহীত

ওয়াল স্ট্রিটের সাবেক ইকুইটি ট্রেডার স্টিভেন মেনকিং এখন ঘরে বসেই প্রতি ঘণ্টায় আয় করছেন প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার টাকা (১,০০০ ডলার)। দীর্ঘ কর্মঘণ্টা ও মানসিক চাপে ক্লান্ত হয়ে তিনি কর্পোরেট জীবনকে বিদায় জানিয়ে ফিরে এসেছেন নিজের পুরনো ভালোবাসা—শিক্ষাদানে।

“আর্থিক জগতে যাওয়ার আগেও আমি টিউটর ও টিচিং অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে কাজ করতাম। ফিরে তাকিয়ে বুঝি, তখনই আমি সত্যিকার অর্থে জীবনের উদ্দেশ্য অনুভব করতাম। তাই আমি সিদ্ধান্ত নেই শিক্ষা পেশায় পুরোপুরি মনোযোগ দেওয়ার,” বলেন নিউ ইয়র্কভিত্তিক মেনকিং, সিএনবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে।

ওয়াল স্ট্রিটের কঠোর সময়সূচির চেয়ে এখনকার জীবন অনেকটাই চাপমুক্ত ও আত্মতৃপ্তিকর বলে জানান তিনি।

“আমি এখন বাড়ি থেকেই কাজ করি। সপ্তাহে প্রায় ২০ থেকে ২৫ ঘণ্টা পড়াই, আর প্রতি ঘণ্টায় ১,০০০ ডলার পর্যন্ত আয় করি,” জানান তিনি।

কীভাবে এত উচ্চ পারিশ্রমিক এবং স্বাধীনতা অর্জন করলেন—এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “আমি ধীরে ধীরে শুরু করি। নিউ ইয়র্ক শহরের বেশ কয়েকটি এজেন্সির সঙ্গে পার্টনারশিপ করি এবং Wyzant-এর মতো অনলাইন টিউশন প্ল্যাটফর্মে যুক্ত হই। শুরুতে ঘণ্টায় ৫০ থেকে ১০০ ডলার নিয়েই শুরু করি। এরপর এমন চ্যানেল বেছে নিই, যেগুলোর মাধ্যমে ধীরে ধীরে পারিশ্রমিক বাড়ানো সম্ভব।”

তবে তিনি এটিও স্বীকার করেন যে, শুরুতে অন্য অভিজ্ঞ টিউটরদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে ও তাদের নেটওয়ার্কে যুক্ত হলে হয়তো আরও দ্রুত উন্নতি করতে পারতেন।

"ছেড়ে দিতে হয়েছিল…"
মেনকিং আরও বলেন, তার সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল আর্থিক নয়, বরং মানসিক ও সামাজিক বাধা অতিক্রম করা।

“আমাকে ভেতর থেকে ছাড়তে হয়েছিল এই ধারণা: ‘আমি তো ফাইন্যান্স ব্যাকগ্রাউন্ডের, তাই আবার সেই জগতেই ফিরতে হবে।’ নিজের প্যাশনকে অনুসরণ করতে গেলে পরিবারের, বন্ধুদের বা সহকর্মীদের মতামতের বাইরে গিয়ে সাহসিকতা দেখাতে হয়,” বলেন তিনি।

যদিও তিনি শিক্ষা খাতে কাজ করতে ভালোবাসেন, তবে তিনি মনে করেন, প্রফেসর হলে তিনি এতোটা সন্তুষ্ট হতে পারতেন না। কারণ প্রফেসরদের অনেক সময় ব্যয় হয় প্রশাসনিক কাজ, অনুদান ও কাগজপত্র সামলাতেই।

“আমি এই পেশায় এসেছি মানুষের সঙ্গে সংযোগ তৈরি করতে ও তাদের লক্ষ্যে পৌঁছাতে সাহায্য করতে, দিনভর অফিস ফাইল সামলাতে নয়,” স্পষ্টভাবে বলেন মেনকিং।

আবির

×