
ছবি: সংগৃহীত।
বিশ্বের বহু দেশ দখলদার ও ইহুদিবাদী রাষ্ট্র ইসরাইলকে স্বীকৃতি দিলেও এখনো কিছু দেশ সেই সিদ্ধান্ত থেকে বিরত রয়েছে। এসব দেশ ইসরাইলকে রাষ্ট্র হিসেবে মেনে নেয়নি এবং আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্কও স্থাপন করেনি।
স্বীকৃতি না দেওয়া দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে:
-
আফগানিস্তান: দক্ষিণ এশিয়ার এ দেশটি আজও ইসরাইলকে স্বীকৃতি দেয়নি।
-
আলজেরিয়া: ইসরাইল আলজেরিয়ার স্বাধীনতা স্বীকৃতি দিলেও আলজেরিয়া ইসরাইলকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়নি।
-
বাংলাদেশ: বাংলাদেশি পাসপোর্টে স্পষ্টভাবে লেখা থাকে—‘ইসরাইল ব্যতীত বিশ্বের সকল দেশে বৈধ’। ফলে ইসরাইলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই।
-
ভুটান, ব্রুনাই, কোমোরোস, জিবুতি: এই দেশগুলোর সঙ্গে ইসরাইলের কোনো আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই।
-
ইন্দোনেশিয়া: ইসরাইলকে স্বীকৃতি না দিলেও কিছু অনানুষ্ঠানিক যোগাযোগ বিদ্যমান।
-
ইরাক, কুয়েত, লেবানন, লিবিয়া, মালয়েশিয়া: ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ার কোনো উদ্যোগ নেই, বরং বৈরিতা দীর্ঘদিনের।
-
মরক্কো: আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি না থাকলেও গোপন যোগাযোগ ও কিছু বাণিজ্যিক সম্পর্ক রয়েছে।
-
উত্তর কোরিয়া: ইসরাইলের সঙ্গে শত্রুতা প্রকাশ্যে এবং দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক শূন্য।
-
ওমান, কাতার: পূর্বে বাণিজ্যিক যোগাযোগ থাকলেও বর্তমানে কোনো কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই।
-
পাকিস্তান: নানা আন্তর্জাতিক চাপ সত্ত্বেও ইসরাইলকে স্বীকৃতি দেয়নি। দেশটির পাসপোর্টধারীরা ইসরাইলে প্রবেশ করতে পারে না।
-
সৌদি আরব: আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি এখনো না দিলেও ভবিষ্যতে নীতিগত পরিবর্তনের সম্ভাবনা আছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।
-
সোমালিয়া, সিরিয়া, ইয়েমেন: এসব দেশের সঙ্গে ইসরাইলের কোনো কূটনৈতিক কিংবা ভ্রমণ-সুবিধা নেই।
বিশ্লেষকদের মতে, এসব দেশের স্বীকৃতি না দেওয়ার পেছনে রয়েছে ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর ইসরাইলি দখল, মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং দীর্ঘ দিনের বৈরিতা। অনেক দেশের পাসপোর্টেই ইসরাইল ভ্রমণ নিষিদ্ধ বা সীমিত করা হয়েছে।
তথ্যসূত্র: ডয়চে ভেলে
নুসরাত