ছবি: জনকণ্ঠ
পটুয়াখালীর কলাপাড়ার ধানখালীর প্যাদার হাট সংলগ্ন লোন্দা গ্রামের শিক্ষার্থী তারেক মৃধার সঙ্গে বিয়ের দাবিতে ওই বাড়ির সামনে অবস্থান নিয়েছে প্রেমিকা সারামনি জান্নাতি। মঙ্গলবার সকাল দশটার দিকে সারামনি অবস্থান নেয়। এ সময় তাকে সরিয়ে দিতে তারেকের স্বজনরা সারামনিকে টানাহেঁচড়া করে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। সারামনির বাড়ি কলাপাড়া পৌরসভার চিঙ্গুরিয়া এলাকায়।
সারামনির দাবি, এক বছর আগে কলাপাড়া শহরে বৈশাখী মেলায় তাদের পরিচয়। এরপর নানা কৌশলে তারেক তার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলতে সক্ষম হয়। পরে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তারা বরিশালে এবং কুয়াকাটায় স্বামী স্ত্রী হিসেবে অবস্থান করতে থাকে। সবশেষে ৩১মে বরিশালে গিয়ে তারা একত্রে অবস্থান করে বলে সারামনির দাবি। এরপর সারামনি তাকে বিয়ের জন্য তারেককে চাপ প্রয়োগ করেন। গত ৪-৫ দিন ধরে তারেক তার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। বাধ্য হয়ে আজ মঙ্গলবার সকালে ওই বাড়িতে অবস্থান নেয় সারামনি। তাকে বিয়ে না করলে আত্মহননের হুমকি দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও দাবি করেন, সব বিষয়ে তারেকের বাবা মা জানতো। এ বিষয়ে এর আগে কলাপাড়া পৌরশহরে বিএনপির এক নেতার বাসায় সালিশ বৈঠক পর্যন্ত হয়েছে। কিন্তু কোন সমাধান হয়নি। আগেও বিয়ের দাবি নিয়ে ওই বাড়িতে গেলে বুঝিয়ে পাঠানো হয় এরপর সালিশ বৈঠক বসে।
এ বিষয়ে তারেকের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও সম্ভব হয়নি। তবে তার বাবা ফারুক মৃধা দাবি করেন, ওই মেয়ের সকল ধরনের কথা ও দাবি মিথ্যা। তার ছেলের আগেই অন্যত্র বিয়ে হয়েছে।
ওই পরিবারের অন্য একজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, ওই মেয়ের আগেই অন্যত্র বিয়ে হয়েছিল। সেখানে ডিভোর্স হয়ে গেছে। ওই কথা গোপন করে তারেকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক করে ।
তবে সারামনির দাবি তার আগে বিয়ে হয়নি। শুধু আংটি পরানো হয়েছিল। এসব জেনেই তারেক তার সাথে প্রেমের সম্পর্ক করে।
কলাপাড়া থানার ওসি মোহাম্মদ জুয়েল ইসলাম জানান, তিনি ঘটনাস্থলে পুলিশ কর্মকর্তা পাঠিয়েছেন। প্রয়োজনীয় আইনানুগ পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
সায়মা ইসলাম
