
সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, চলতি হজ মৌসুমে হাজিদের সেবায় বিভিন্ন খাত ও সংস্থায় ৯৪,০০০-এর বেশি জনবল নিয়োজিত ছিল। সেবার মান উন্নয়ন ও হাজিদের অভিজ্ঞতা সমৃদ্ধ করাই ছিল এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য। পুরো কার্যক্রমটি একটি একীভূত পরিচালন ব্যবস্থার আওতায় সম্পন্ন হয়, যা পরিচালনা করেছে একাধিক বিশেষায়িত কেন্দ্র।
মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, এই পরিসংখ্যান একটি সমন্বিত প্রাতিষ্ঠানিক প্রচেষ্টার অংশ, যেখানে সরকারি ও সেবা প্রদানকারী সংস্থাগুলো একযোগে কাজ করেছে। মানবসম্পদ ও আধুনিক প্রযুক্তির সমন্বয়ের মাধ্যমে হাজিদের জন্য একটি নিরাপদ ও সহজ হজ অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করার চেষ্টা করা হয়েছে।
তদারকির দিক থেকে, মন্ত্রণালয়ের কমপ্লায়েন্স সেন্টার হজ মৌসুমে ৭০,০০০-এর বেশি মাঠপর্যায়ের পরিদর্শন করেছে, যার মধ্যে হাজিদের আবাসন, ক্যাম্প, কেন্দ্রীয় রান্নাঘর ও অন্যান্য কার্যক্রম পরিচালনাকারী স্থাপনাগুলো অন্তর্ভুক্ত ছিল।
এছাড়া ‘নুসুক কেয়ার’ উদ্যোগের আওতায় সরাসরি ৮ লাখ ৪৫ হাজারের বেশি সেবা প্রদান করা হয়েছে, যার মধ্যে স্বাস্থ্যসেবা, মানসিক সহায়তা, ভাষাগত সহায়তা এবং মানবিক সহায়তা অন্তর্ভুক্ত ছিল। এসব সেবা ২৪ ঘণ্টা মাঠপর্যায়ে কাজ করা টিমগুলোর মাধ্যমে সরবরাহ করা হয়েছে।
এবারের হজ মৌসুমে ছয়টি ভিন্ন ট্র্যাকে ৩,০০০-এর বেশি স্বেচ্ছাসেবক অংশ নিয়েছেন, যারা ১০৭টিরও বেশি যোগাযোগ পয়েন্টে হাজিদের সহায়তা করেছেন। এভাবে তাঁরা সরকারি প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে হাজিদের একটি অনন্য অভিজ্ঞতা প্রদান করতে সহায়তা করেছেন।
এই মাঠপর্যায়ের পরিসংখ্যান প্রমাণ করে যে, পরিকল্পনা, নিখুঁত বাস্তবায়ন ও মানবসম্পদ এবং প্রযুক্তিতে বিনিয়োগের মাধ্যমে কীভাবে হজ ব্যবস্থাপনাকে সফল করা যায়। এসব উদ্যোগ সৌদি ভিশন ২০৩০-এর লক্ষ্য পূরণে সহায়ক এবং ইসলামের ও মুসলমানদের সেবায় সৌদি আরবের অগ্রণী অবস্থানকে আরও সুসংহত করেছে।
সানজানা