
ছবি: সংগৃহীত
বিশ্বের অন্যতম করদাতা দেশ ডেনমার্ক, যেখানে নাগরিকরা তাদের বার্ষিক আয়ের প্রায় ৫০% পর্যন্ত কর প্রদান করেন। তবুও, সে দেশের মানুষ নিজেদের জীবনযাত্রা নিয়ে রীতিমতো আনন্দিত ও সন্তুষ্ট। এর প্রমাণ মিলেছে ইনস্টিটিউট ফর দ্য কোয়ালিটি অব লাইফ প্রকাশিত ২০২৫ হ্যাপি সিটি ইনডেক্সে।
এই সূচকে বিশ্বের সবচেয়ে সুখী ১০টি শহরের তালিকায় ডেনমার্কের দুটি শহর স্থান পেয়েছে—কোপেনহেগেন শীর্ষে এবং আরহুস চতুর্থ স্থানে।
কীভাবে নির্ধারণ করা হয় সুখ?
এই ইনডেক্সটি ৬টি গুরুত্বপূর্ণ মানদণ্ডে মোট ৮২টি সূচকের ভিত্তিতে প্রস্তুত করা হয়েছে। মানদণ্ডগুলো হলো:
1.নাগরিক জীবনের গুণমান
2.শাসনব্যবস্থা
3.পরিবেশ
4.অর্থনীতি
5.স্বাস্থ্যসেবা
6.পরিবহন ও চলাচল ব্যবস্থা
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডেনমার্কের উচ্চ কর কাঠামো নাগরিকদের জন্য বিনামূল্যে বা ভর্তুকিযুক্ত নানা সরকারি সুবিধা নিশ্চিত করেছে, যা জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে বড় ভূমিকা রাখছে। এর মধ্যে রয়েছে:
1.বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা
2.ভর্তুকিযুক্ত শিশু যত্ন
3.বিনা খরচে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা
4.শিক্ষার্থীদের জন্য মাসিক অনুদান
এসব সুবিধার কারণে ডেনমার্কের নাগরিকদের মধ্যে আর্থিক নিরাপত্তা, স্বাস্থ্যগত স্বস্তি ও সামাজিক সমতা বজায় রয়েছে, যা তাদের সুখের বড় উৎস।
বিশ্বের শীর্ষ ১০ সুখী শহর – ২০২৫
1. কোপেনহেগেন, ডেনমার্ক
2. জুরিখ, সুইজারল্যান্ড
3. সিঙ্গাপুর
4. আরহুস, ডেনমার্ক
5. অ্যান্টওয়ার্প, বেলজিয়াম
6. সিউল, দক্ষিণ কোরিয়া
7. স্টকহোম, সুইডেন
8. তাইপেই, তাইওয়ান
9. মিউনিখ, জার্মানি
10. রটারডাম, নেদারল্যান্ডস
বিশ্ব সুখ জরিপ ও জীবনমান বিশ্লেষণে জড়িত বিশেষজ্ঞদের মতে, “উন্নত নাগরিক সেবাব্যবস্থা, সামাজিক নিরাপত্তা ও শিক্ষার সমতা একটি দেশের সামগ্রিক সুখকে নির্দেশ করে। শুধু অর্থ নয়, ব্যালেন্সড লাইফস্টাইলই এখানে বড় বিষয়।”
ডেনমার্ক প্রমাণ করেছে, করের হার যতই বেশি হোক, যদি সরকার তা নাগরিকদের কল্যাণে ব্যয় করে, তবে সুখী জীবন নিশ্চিত করাই সম্ভব। পৃথিবীর শীর্ষ সুখী শহর হিসেবে কোপেনহেগেনের এই সাফল্য সেটিই মনে করিয়ে দেয়।
Mily