ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫, ১০ আষাঢ় ১৪৩২

আবু সাঈদ

রোমান্টিক কবি জীবনানন্দ দাশ

প্রকাশিত: ১২:৫০, ১৮ অক্টোবর ২০১৯

রোমান্টিক কবি জীবনানন্দ দাশ

ইংরেজী সাহিত্যে আঠারো শতক (ক্লাসিক্যাল যুগ) শেষ হওয়ার আগেই এই শতকের সমাপ্তি ঘোষণা করেছিলেন রোমান্টিক ধারার কবিরা। তাঁরা মনে করেছিলেন এ শতকের কবিদের (ড্রাইডেন, পোপ, জনসন প্রমুখ) কাব্যাদর্শের আবেদন, নিবেদন এবং অবদান শেষ হয়ে গেছে; শুরু হয়েছে নতুন কাব্যধারা নির্মাণ। ইংরেজী কাব্যধারা পরিবর্তনের এ যুগসন্ধিক্ষণটি হচ্ছে ১৭৯৮ খ্রিস্টাব্দ। এ সালে ওয়ার্ডস্্ওয়ার্থ এবং কোল্রিজের যৌথ প্রচেষ্টায় এবং রুশো ও ফরাসি বিপ্লব (১৭৮৯) প্রভাবিত কাব্য ‘লিরিক্যাল ব্যালাডস’ প্রকাশিত হয়। একইভাবে দেখা যায়, বাংলা কাব্যধারায়ও বিংশ শতাব্দীর তিরিশের দশকটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এ সময় বাংলা কাব্যধারাও বাঁক নেয়। এ দশকের কবিরাও রবীন্দ্রনাথের মৃত্যুর আগে তাঁর মৃত্যু ঘোষণা করে ‘রবীন্দ্রযুগের’ অবসান ঘোষণা করেন। কারণ ‘রবীন্দ্রানুসরণে বাংলা কাব্যের মুক্তি নেই’ বলে। কিন্তু রোমান্টিক কবিরা যেমন ক্লাসিক যুগের নীতি-নৈতিকতা, নন্দনতত্ত্ব, আদর্শ-সবকিছুকে পুরোপুরি বিসর্জন দিতে পারেননি তেমনি বাংলার এ দশকের কবিরাও রবীন্দ্রনাথকে পুরোপুরি ত্যাগ করতে পারেননি বরং রবীন্দ্রনাথকে তাঁদের আরও আত্মস্থ করতে হয়েছে। জীবনানন্দ দাশও (১৮৯৯-১৯৫৪)-এ ব্যতিক্রম ছিলেন না। জীবনানন্দ দাশ আধুনিক কবি। কিন্তু এ আধুনিকতার আবরণে তাঁর কবিতার মধ্যে যে রোমান্টিকতার উপাদান রয়েছে তা ভুলে থাকার বা অস্বীকার করার একটি প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। দীপ্তি ত্রিপাঠীও তাঁকে রোমান্টিক কবি হিসেবে স্বীকার করতে প্রস্তুত নন। তিনি কবিকে ‘এক বিমূঢ় যুগের বিভ্রান্ত কবি’ বলে আখ্যায়িত করে তাঁর কবিতায় যে রোমান্টিকতার বৈশিষ্ট্যসমূহ বিদ্যমান রয়েছেÑ তা প্রকারান্তরে অস্বীকার করেছেন। জীবনানন্দ দাশ প্রথম থেকে রোমান্টিক কবিদের মতো সৌন্দর্য-অন্বেষণে ব্যাপৃত ছিলেন, ছিলেন সৌন্দর্যপিয়াসীও। শুধু চিত্রকল্পে নয়, বিভিন্ন উপমা, উৎপ্রেক্ষোয়ও তিনি এ সৌন্দর্য অন্বেষণ থেকে বিরত থাকেননি। প্রকৃতির মধ্যে যে রঙের খেলা চলছে তা তাঁর সৌন্দর্যানুভূতিকে তীক্ষè করেছে, প্রখর করেছে। আবার একই সঙ্গে রোমান্টিক-বিষাদের সুরও ধ্বনিত হয়েছে তাঁর কবিতায় এবং তা এসেছে রোমান্টিকতার অনুষঙ্গ হিসেবে। তবে বিচ্ছেদের সামনে তিনি নতজানু নন কোনভাবেই। ডাকিয়া কহিল মোরে রাজার দুলালÑ ডালিম ফুলের মতো ঠোঁট যার, Ñরাঙা আপেলের মতো লাল যার গাল, চুল যার শাঙনের মেঘ, আর আঁখি গোধূলির মতো গোলাপি রঙিন; আমি দেখিয়াছি তারে ঘুমপথে, Ñস্বপ্নে, -কতদিন! মোর জানালার পাশে তারে দেখিয়াছি রাতের দুপুরে;- তখন শকুনবধূ যেতে ছিল শ্মশানের পানে উড়ে উড়ে। (ডাকিয়া কহিলা মোরে রাজার দুলাল) এ সৌন্দর্য-অন্বেষণের সঙ্গে তিনি যুগ দর্শনকেও একীভূত করেছেন। জীবন ও জগতকে গভীরভাবে, প্রত্যক্ষভাবে এবং তীক্ষèভাবে পর্যবেক্ষণ না করলে এভাবে সচেতনভাবে প্রকাশ করা সম্ভব ছিল না। এ কবিতায় যে দার্শনিকতা তা যুগ দর্শনকেই ব্যক্ত করেছে। নিট্শে প্রভাবিত এ দর্শন যুগকে ‘বিমূঢ়’ করতে পারে কিন্তু কবির অনিষ্ট এর থেকে পরিত্রাণ। তিনি আশাবাদীÑ -মানুষ সবার জন্য শুভ্রতার দিকে অগ্রসর হতে চায়Ñ অগ্রসর হয়ে যেতে পারে। (পৃথিবী সূর্যকে ঘিরে) রবীন্দ্রনাথ (১৮৬১-১৯৪১) যখন কবিতা রচনা শুরু করেছিলেন তখন ইংরেজী সাহিত্যের সেই রোমান্টিক যুগের পর্ব সমাপ্ত হয়েছে (১৮১৫)। তবুও তিনি রোমান্টিকতায় আচ্ছন্ন ছিলেন, কবিতা লিখেছেন। তাঁর কবিতায় ক্লাসিক যুগের বুদ্ধির শাসন এবং রোমান্টিক যুগের আবেগের আতিশয্যÑ উভয় উপাদানই সমানভাবে ক্রিয়াশীল ছিল। সময় ও বাস্তবতার কারণে মাঝে মাঝে একটি অন্যটির ওপর প্রভাব বিস্তার করত। অর্থাৎ অনেক সময় বুদ্ধি প্রাধান্য পেত আবার অনেক সময় প্রভাব বিস্তার করত রোমান্টিক আবেগ। কিন্তু এটাও লক্ষ্য করার বিষয় যে, একটির প্রভাবে অন্যটি হারিয়ে যেত না একেবারে, থাকত অনেকটা প্রচ্ছন্ন হয়ে। রবীন্দ্রনাথের কাছে বাস্তবতা সত্য কিন্তু রোমান্টিকতা ‘আরো সত্য।’ এ ‘আরো সত্যের’ জন্য বাস্তবতাকে অস্বীকার করলে হয় না, বরং আরও অনুসন্ধান এবং পর্যবেক্ষণ করতে হয়। এ জন্য কবিকে আকাশচারী হতে হয় না, হতে হয় সময়ের, স্থানের এবং মাটির কাছাকাছি। জীবনানন্দ দাশও আকাশচারিতা ছিল না, ছিল বাস্তবমুখিনতা। এ বাস্তবমুখিনতা রোমান্টিকতারই একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান বৈকি। নগরীর মহৎ রাত্রিকে তার মনে হয় লিবিয়ার জঙ্গলের মতো। তবুও জন্তুগুলো আনুপূর্ব-অতিবৈতনিক, বস্তুত কাপড় পরে লজ্জাবশত (রাত্রি) জীবনানন্দ দাশের কবিতার মধ্যে যে কল্পনা নেই তা নয়, কল্পনার আতিশয্যও আছে। কিন্তু যা নেই তা হচ্ছে জল্পনা। এটাও রোমান্টিকতার অন্যতম বৈশিষ্ট্য। সামান্য বিষয়কে তিনি তুচ্ছ ভেবে, নগণ্য ভেবে পরিত্যাগ করেননি। তবে এ সামান্যতার মধ্যে যে অসাধারণত্ব প্রচ্ছন্ন রয়েছে কবি তাকে আবিষ্কার করেছেন এবং এখানেই তাঁর অসাধারণত্ব। যে অসাধারণত্ব ওই সামান্যতাকে চিরন্তনতা দিয়েছে, পূর্ণতা দিয়েছে, দিয়েছে সম্পূর্ণতাও। প্রতিদিনকার সামান্যতম বিষয়ের মধ্যে এই যে অসাধারণত্বকে আবিষ্কার তাও তাঁর রোমান্টিক মনোভাবকেই প্রকাশ। যে কাঁঠালপাতা ভোরের বাতাসে ঝরে পড়ছে তার সৌন্দর্য উপভোগের যেন শেষ নেই, সীমা নেইÑ এ সামান্য প্রতিদিনকার ঘটনাকে তিনি উপভোগের অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন তাঁর অসাধারণ উপস্থাপনা এবং বর্ণনার ভঙ্গির কারণে এবং তা সম্ভব হয়েছে কেবল রোমান্টিক মনোভঙ্গির কারণেই। তোমার যেখানে সাধ চলে যাওÑ আমি এই বাংলার পারে রয়ে যাব; দেখিব কাঁঠালপাতা ঝরিতেছে ভোরের বাতাসে; (তোমার যেখানে সাধ) জীবনানন্দ দাশের কবিতা যেমন আমাদের বিস্মিত করে। তেমনি কবিও জীবন ও জগতের বিচিত্রতা দেখে বিস্মিত না হয়ে পারেননি। এ বিস্ময়বোধ তাঁর কবিতাকে অনন্য রোমান্টিকতা দান করেছে। জীবনের মধ্যে, প্রকৃতির মধ্যে, জীবজগতের মধ্যে, নিসর্গের মধ্যে, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির মধ্যে তাঁর যে বিস্ময়বোধ, তা অপরিমেয়। মানুষের মৃত্যুতেও তিনি মানবপ্রবাহের সমাপ্ত দেখেন না। এ মানবপ্রবাহ তাঁকে অনুপ্রাণিত করেছে, বিস্মিত করেছে, অবাক করেছে আবার গতিশীলও রেখেছে কারণ তিনি জীবনবাদী। যতদিন পৃথিবীতে জীবন রয়েছে দুই চোখ মেলে রেখে স্থির মৃত্যু আর বঞ্চনার কুয়াশার পারে সত্য সেবা শান্তি যুক্তির নির্দেশের পথ ধ’রে চলে হয়তো বা ক্রমে আরো আলো পাওয়া যাবে বাহিরে-হৃদয়ে; মানব ক্ষয়িত হয় না জাতির ব্যক্তির ক্ষয়ে। (যত দিন পৃথিবীতে) ‘বনলতা সেন’ কবিতাটির মধ্যেও কবির রোমান্টিক কল্পনার ছোঁয়া রয়েছে। এখানে কবির কল্পনা সুদূর অতীত থেকে বর্তমান হয়ে ভবিষ্যতের দিকে ধাবমান। এ বর্তমানকে তিনি আবার ঐতিহাসিকতা দিয়ে চিরন্তনতা দান করেছেন। এখানে কবি সময় ও স্থানÑ দুটোকেই সমন্বিতভাবে গ্রথিত করেছেন। ইতিহাসের গর্ভ থেকে সময় ও স্থান-দুটোকেই তিনি ছিনিয়ে নিয়ে পাঠকের সামনে উপস্থাপিত করেছেন। যে দেশ পাঠকের কাছে এতদিন অজ্ঞাত ছিল, এমনকি ঐতিহাসিকের কাছেও ছিল অনেকটা অপরিচিতÑ তাকে কবি মায়াময় হাতে খনন করে উদ্ধার করেছেন। যে দেশ কালের গর্ভে হারিয়ে গেছে, যার ইতিহাস খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না তাকে কবি সপ্রাণ হাজির করেছেন। এতদিন ধরে রহস্যের আবরণে মোড়া সে স্থান ও সময় কবির কারণে বাস্তব হয়ে ধরা দিয়ে পাঠকের কাছে। কেবল অতীত নয়, রূপকথা, উপকথাও তাঁর কল্পনায় বাস্তব হয়ে দেখা দিয়েছে। বাস্তবতার কঠিন মরুতে এ কাল্পনিক রাজ্যগুলো এতদিন শুষ্ক ছিল, কিন্তু এবার কবি তাতে বারি সিঞ্চন করে উর্বর করে শস্য ফলিয়েছেন। এখানে কবির জ্ঞান-প্রজ্ঞা, কল্পনা-অভিজ্ঞতা, অনুভব-অনুভূতি, বোধ-বুদ্ধি এবং বাস্তবতার সঙ্গে রোমান্টিক মনোভাবের আশ্চর্য সম্মিলন ঘটেছে। হাজার বছর ধরে আমি পথ হাঁটিতেছি পৃথিবীর পথে, সিংহল সমুদ্র থেকে নিশীথের অন্ধকারে মালয় সাগরে অনেক ঘুরেছি আমি, বিম্বিসার অশোকের ধূসর জগতে সেখানে ছিলাম আমি; আরো দূর অন্ধকারে বিদর্ভ নগরে; আমি ক্লান্ত প্রাণ এক, চারিদিকে জীবনের সমুদ্র সফেন, আমারে দুদ- শান্তি দিয়েছিল নাটোরের বনলতা সেন। (বনলতা সেন) নিসর্গকে কবি যেভাবে উপস্থাপন করেছেন তা শুধু অনুভবযোগ্য নয়, স্পর্শযোগ্যও এ জন্য রবীন্দ্রনাথ তাঁকে ‘চিত্ররূপময়’ কবি বলে আখ্যায়িত করেছেন। প্রকৃতি তাঁর কাব্যে অনেকাংশ স্থান জুড়ে আছে। এ প্রকৃতি কবির কাছে তার নিজস্বতা এবং সম্পূর্ণতা নিয়ে ধরা দিয়েছে। প্রকৃতির রূপ-রস-গন্ধ-বর্ণ-কে তিনি পূর্ণভাবে অনুভব করেছেন। ঋতুভিত্তিক এ প্রকৃতিকে তিনি শুধু চোখ দিয়ে দেখছেন তা নয়, ইন্দ্রিয় দিয়ে স্পর্শও করছেন। এ জন্য বাংলার প্রকৃতি তাঁর কাছে রহস্যের আবরণে মোড়া নয়, বরং অনেক বেশি আপন এবং কাছের। কারণ নিসর্গের মধ্যে যে প্রাণসত্তা রয়েছে, সে প্রাণসত্তাকে তিনি আত্মীকৃত করতে পেরেছেন। পেরেছেন বলে প্রকৃতি এবং মানুষ তাঁর কবিতায় একাকার হয়ে গেছে। একটিকে অন্যটি থেকে পৃথক করা যায় না। তার যেন অভিন্ন একক সত্তা। এই যে একাত্ম হওয়ার অসাধারণ গুণ তা সম্ভব হয়েছে তাঁর অনুভূতির তীক্ষèতার জন্য। ওয়ার্ডস্্ওয়ার্থ এ জন্যই কবিতাকে তীক্ষè অনুভূতির স্বতঃস্ফূর্ত প্রকাশ বলেছেন। এ স্বতঃস্ফূর্ততা তাঁর রোমান্টিকতাকে স্বতন্ত্র উচ্চতায় নিয়ে গেছে। কিন্তু ওয়ার্ডসওয়ার্থের মতো কেবল প্রকৃতির জন্য তাঁকে রোমান্টিক কবি হিসেবে চিহ্নিত করা যায় না। এভাবে দেখলে তাঁর কবিতাকে খ-িতভাবে দেখা হবে। শুধু প্রকৃতিই তাঁকে রোমান্টিক করেনি। এর সঙ্গে আরও অনেক অনুষঙ্গ সক্রিয় ছিল। বিজ্ঞানের নব নব আবিষ্কার তাকে বিস্মত করেছে ঠিক কিন্তু এর নেতিবাচক প্রভাবকে তিনি মেনে নিতে পারেননি। শিল্প বিপ্লবের পথ ধরে যে বণিক সভ্যতার উত্থানÑ সে সভ্যতার বুর্জোয়াদের লোভ-হিংসা, মুনাফা নির্ভরশীলতা এবং সর্বোপরি মানবিক বিপর্যয় তাঁকে ব্যথিত করেছে। এ সভ্যতার নগ্নতা, ক্ষুদ্রতার প্রতি তিনি বিরূপ মনোভাব পোষণ করেছেন। এ যুগকে তিনি ব্যঙ্গ করেছেন ব্যক্তিগত মুনাফার কাছে যখন সামষ্টিক স্বার্থ ভূলুণ্ঠিত হয় তখন তিনি ব্যথিত হন, হন প্রতিবাদীও। কিন্তু তিনি ‘বিভ্রান্ত’ হননি। এ বিশেষণ তাঁর জন্য অপবাদতুল্য। হাজার হাজার মোটর ইন্ডাস্ট্রি কোটি কোটি মোটরকার আমার জীবনের স্থিরতা অবসর ও অপেক্ষাকে নষ্ট করতে পারবে না (মোটরকার) জীবনানন্দ দাশের কবিতা উত্তরোত্তর বিশ্লেষণধর্মী হচ্ছে কারণ তিনি নিজেও আত্মবিশ্লেষণের মধ্য দিয়ে এগিয়েছেন। এ আত্মবিশ্লেষণ তাঁর রোমান্টিক মনোভাবের পরিচয় বহন করে। আত্মবিশ্লেষণ রোমান্টিকতার একটি স্বাভাবিক প্রবণতা। তাঁর কবিতার মধ্যে রোমান্টিকতার যে সব অনুষঙ্গ এসেছে তার মধ্যে এ স্বাভাবিকতা অন্যতম। জীবনানন্দ দাশ মুকুন্দ দাসের মতো স্বভাব কবি নন, তিনি অনেক বেশি স্বাভাবিক কবি। তিনি রবীন্দ্রনাথের মতো গতিবাদী, ওয়ার্ডওয়ার্থের মতো স্থিতিবাদী নন। তাঁর কবিতার মধ্যে গতির অনুরণন ধ্বনিত হয় বার বার। এ গতি তাঁর কবিতাকেও আলাদা সৌন্দর্য দান করেছেন। গতি এবং সৌন্দর্য-রোমান্টিকতার এ দুই গুরুত্বপূর্ণ উপাদান তাঁর কবিতাকেও আলাদা সৌন্দর্যম-িত করেছে।
×