
ছবি: সংগৃহীত
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছেন, ইসরায়েল যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। যদিও এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে কোনো নিশ্চয়তা আসেনি। অন্যদিকে, ইরান রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের মাধ্যমে জানিয়ে দিয়েছে যে তারা যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে।
তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ শুরু হবে যুদ্ধবিরতির পরে। সেটি হলো— ইরানকে পরমাণু অস্ত্র অর্জন থেকে স্থায়ীভাবে বিরত রাখা।
ইরানের পরমাণু কর্মসূচি কি সত্যিই ধ্বংস হয়েছে?
হোয়াইট হাউজ থেকে দাবি করা হয়েছে, সাম্প্রতিক মার্কিন হামলায় ইরানের পরমাণু কর্মসূচি পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে। কিন্তু বাস্তবতা হলো— যতক্ষণ না আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক দল ইরানের ভেতরে প্রবেশ করে সরেজমিনে তদন্ত করতে পারছে, ততক্ষণ এই দাবি পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়া সম্ভব নয়।
মূল প্রশ্ন হচ্ছে— আমেরিকার হামলার আগে ইরান কি তার পরমাণু উপকরণ ও প্রসেসিং মেশিন সরিয়ে নিয়েছিলো?
আরও গুরুত্বপূর্ণ— দেশজুড়ে এমন কি কোনো গোপন পরমাণু স্থাপনা ছিল, যা আমেরিকার হামলায় ধ্বংস হয়নি? এসব প্রশ্নের উত্তর পাওয়া এখনো বাকি।
নতুন করে কূটনৈতিক সমঝোতার প্রয়োজন
বর্তমানে আমেরিকার জন্য সবচেয়ে জরুরি কাজ হলো ইরানের সঙ্গে একটি নতুন, কার্যকর, যাচাইযোগ্য ও স্থায়ী চুক্তিতে পৌঁছানো, যার মাধ্যমে ইরানের পরমাণু কর্মসূচি একেবারে বন্ধ করা যাবে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এমন একটি সমঝোতায় পৌঁছাতে আগেরবারের মতো দুই বছরেরও বেশি সময় লাগতে পারে।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে ইরানের সঙ্গে স্বাক্ষরিত হয়েছিল JCPOA (Joint Comprehensive Plan of Action) নামের ঐতিহাসিক পরমাণু চুক্তি। কিন্তু ২০১৮ সালে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নিজেই এই চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসেন।
মুমু ২