(গতকালের পর)
আমাদের কাগজের ২৭ ডিসেম্বর ২০০১ সংবাদ শিরোনাম ছিলÑ দরপত্র ছিনতাই, মারধর ও অনাধিকার প্রবেশের কারণে সরকারদলীয় এমপি পিন্টু গ্রেফতার। এক মাসের আটকাদেশ দিয়ে কারাগারে প্রেরণ। সরিষা বাড়িতে আওয়ামী লীগ কর্মীর মাকে খুন। মাগুরায় পোস্টার লাগিয়ে সাংবাদিকদের প্রতি হুমকি। নাটোরে লালপুরে বিএনপি সন্ত্রাসীরা নৌকায় ভোট দেবার অপরাধে এক কৃষকের শ্যালো মেশিন জ্বালিয়ে দেয়। অপরদিকে শ্রীপুর উপজেলায় সারঙ্গদিয়া গ্রামে একটি দোকানে চা-খাওয়ার সময় বিএনপির সন্ত্রাসীরা হাতুড়ি দিয়ে রেজাউল নামে এক যুবক আওয়ামী লীগের সমর্থক হওয়ায় পিটিয়ে আহত করে। ২০০২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে পল্টন ময়দানে তিনদিনের তফসির মাহফিলের দ্বিতীয় দিনে জামায়াতের এমপি দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী বলেন, লেখক সাহিত্যিক সাংবাদিক শাহরিয়ার কবির মুরতাদ। তাছাড়া তিনি দেশবরণ্য ব্যক্তিদের নাম বিকৃত করে বক্তব্য রাখেন (জনকণ্ঠ ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০০২)।
ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ের সাইফিয়া গ্রামের জহিরউদ্দিনের কন্যা বেদানা বেগম সম্ভ্রম হারিয়ে ২৪ অক্টোবর ২০০১ সালে একদল বিএনপি জামায়াত-সমর্থিত সন্ত্রাসীদের হামলায় বেদানার বাবা আওয়ামী লীগ কর্মী হওয়ায় বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়। বাড়ির সবাই প্রাণের ভয়ে পালায়। বেদানা পার্শ্ববর্তী বাড়িতে আশ্রয় নিতে গেলে তারা সন্ত্রাসীদের ভয়ে বেদানাকে আশ্রয় দেয়নি। সে বাড়িতে ফিলে এলে সন্ত্রাসীরা মার সামনেই বেদানাকে করে ধর্ষণ করে। এ কাহিনী ঢাকায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটের অডিটোরিয়ামে ‘মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ জাতীয় কনভেনশনে বেদানার মুখে এমন লোমহর্ষক কাহিনী শুনে বিশিষ্ট সাংবাদিক রাহাত খান বলেন, ওর নাম বেদানা তাই বেদনা। সরকার সন্ত্রাসীদের দমন না করে পরোক্ষভাবে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছেন ব্যারিস্টার তানিয়া আমির বলেন, নির্বাচনের আগে ও পরে সন্ত্রাসীদের দ্বারা ধর্ষণ, নির্যাতন, লুটতরাজ হত্যার বহু করুণ কাহিনীর বর্ণনা দেন। ২৭ নবেম্বর ২০০১ সালে বাগেরহাটের বিষ্ণুপুরে একই পরিবারের দাদি মা ও কন্যা ধর্ষণের শিকার হয়। যারা একাত্তরের স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিল তারাই আজ সন্ত্রাসী কর্মকা-ে মেতে উঠেছে।
চারদলীয় জোট সরকারের এক শত দিনের হিসাব : ঢাকার পরিবহন টার্মিনাল দখল। টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজির ঘটনা ব্যাপকভাবে দেখা দেয়। রাজধানীর ১৭টি গরুর হাট ছিনিয়ে নেয় সরকারী দলের সমর্থকরা। জ্বালানি তেল বিদ্যুত গ্যাসের দাম বাড়িয়ে দেয়। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য মূল্যের দাম বাড়তে থাকে। জোট সরকার সে দিকে খেয়াল না দিয়ে বিরোধী দলকে সাইজ করার জন্য উঠে পড়ে লাগে। আর তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া বিভিন্ন সভায় ঢাকঢোল পিটিয়ে বলতে থাকেন দেশ উন্নয়নের বন্যায় ভাসছে। অপর দিকে সরকারী হিসাব মতে একশত দিনে ৯২৮ জন খুন হয়েছে। নারী নির্যাতন বেড়েই চলেছে। ধর্ষণ এ্যাসিড নিক্ষেপের ঘটনা ও সহস্রাধিক আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের ওপর হয়রানিমূলক মামলা হতে থাকে। প্রশাসনের কর্মচারীদের শাস্তিমূলক বদলি। চাকরিচ্যুতি শুদ্ধি অভিযান চলতে থাকে। মুক্তিযোদ্ধাদের বাধ্যতামূলক চাকরি থেকে অব্যাহতি প্রদান চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দিয়ে নিজেদের দলীয় লোকদের প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বসানো হয়। মুক্তিযোদ্ধা সংসদ দখল ও জামায়াতের প্ররোচনায় বিভিন্ন স্টেডিয়ামের নাম পরিবর্তন করে জনগণকে বিভ্রান্ত করে জিয়াউর রহমানের নিয়ে চলে টানা হেঁচড়া। তাকে স্বাধীনতার ঘোষক করার চেষ্টা। পাঠ্য পুস্তকে ইতিহাস বিকৃতি করা হয়। জনকণ্ঠই সর্বপ্রথম গ্রামে-গঞ্জে জোট সরকারের ক্যাডারদের দ্বারা সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের সংবাদ প্রকাশ করে। ফলে হয়রানিমূলকভাবে জনকণ্ঠ পত্রিকার ভবনের বিদ্যুত বিচ্ছিন্ন করা হয়। সেই সঙ্গে সরকারী সকল প্রকার বিজ্ঞাপন বন্ধ করে দেয়। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনের চেষ্টা করে পরে প্রগতিশীল ছাত্রদের আন্দোলনের মুখে সরকার পিছু হটে। ব্যাংক থেকে চার হাজার কোটি টাকার ঋণ নিয়ে মন্ত্রী এমপিদের মধ্যে বিলি বণ্টন করে এবং ড্যান্ডি ডাইংয়ের বারো কোটি টাকার সুদ মওকুফ করে দেয় জোট সরকার। সরকারী টেলিভিশনকে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে আনে। বেসরকারী চ্যানেল একুশের টিভিকে বন্ধ করে দেয়। অন্য টিভি চ্যানেলকে বন্ধ করে দেবার পাঁয়তারা করে। ৩০ ডিসেম্বর ২০০১ আড়াইহাজার থানার অওয়াজি গ্রামে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও তৎকালীন সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনা বিএনপি সন্ত্রাসীদের হাতে নির্যাতিত মানুষের সঙ্গে দেখা করেন। ২২টি পরিবারের নারী পুরুষরা এ সময় শেখ হাসিনাকে দেখে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। ২০ জানুয়ারি ইত্তেফাকের সংবাদ : ইসলামী ঐক্যজোটের নেতৃবৃন্দ দাবি করেন ইসলামী ঐক্যজোটের জন্যই নির্বাচনে চারদলীয় জোটের বিজয় সম্ভব হয়েছে।
কাশিম বাজার কুঠির হাওয়া ভবন : (সূত্রও ১৭ জানুয়ারি ২০০২ প্রথম আলোর প্রতিবেদন থেকে) তৎকালীন সাইফুর রহমান বেগম খালেদা জিয়াকে ২৯ মিন্টু রোডে তার সরকারী বাসভবনে বসে জিজ্ঞেস করেছিলেন ‘ম্যাডাম আপনার হাওয়া ভবনে যেতে পারব তো? খালেদা জিয়া তখন বিরোধীদলীয় নেত্রী মুচকি হেসে জবাব দিয়েছিলেন-এ্যাপয়েন্টমেন্ট থাকলে অবশ্যই যেতে পারবেন। শুরু থেকেই হাওয়া ভবন বহুল আলোচিত ছিল। বনানির বাড়ি ৫৩ ঠিকানায় হাওয়া ভবন অবস্থিত। তিন তলা বিশিষ্ট বাড়ি। বিশাল গেইটে সার্বক্ষণিক দু’জন আনসার প্রহরায়ও ছিল। অনুমতি না পেলে কারও পক্ষে হাওয়া ভবনে প্রবেশ করা সম্ভব ছিল না। যারা এই বহুল আলোচিত হাওয়া ভবনের নাম শুনেছেন অথচ চোখে দেখেননি তাদের জানার উদ্দেশ্যে প্রতিবেদক হাওয়া ভবনের ডেস্ক্রিপশন দিয়েছেন।
নিচতলায় প্রথমেই একটি কাচের দেয়াল ঘর। তার পাশেই ব্রিফিং রুম। তার পরই বিশাল হল রুম। দোতালায় বসতেন খালেদা জিয়া ও তারেক জিয়া। যাকে বিখ্যাত কলামিস্ট একুশের কবি আব্দুল গাফফার চৌধুরী প্রিন্স নামে তাকে কলামে আখ্যায়িত করেছিলেন। তারেক রহমানের কক্ষটি কম্পিউটার ও ফ্যাক্স দিয়ে সাজানা ছিল। এই অফিসে বসেই সে সারাক্ষণ সারাদেশের প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করতেন। তিন তলায় রান্নাঘর খাবার জায়গা ও তার কর্মচারীদের থাকার স্থান। বিএনপি সরকার ক্ষমতায় এলে সরকার গঠন করার পর বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে বদলি পদোন্নতি ও নিয়োগ হওয়া ভবন থেকে মনিটর ও চাপ প্রয়োগ করা হতো। সরকারী খাত থেকে বাণিজ্যিক সুবিধা লাভের জন্য বিভিন্ন তদবির হাওয়া ভবন থেকে হতো বলে সূত্র জানিয়েছে। এর মধ্যে কিছু ব্যতিক্রমও ছিল। বিএনপি সরকারের মধ্য থেকে অনেক মন্ত্রী হাওয়া ভবনের অযাচিত হস্তক্ষেপের কারণে বিরক্ত হয়ে সমালোচনা করতেন।
২৬ জানুয়ারি ২০০২ জনকণ্ঠের একটি রিপোর্টে জানা যায়, ঠাকুরগাঁয়ের পল্লীতে আবুল হোসেন নামে এক জামায়াত সে তার তান্ডবে ৪০টি সংখ্যালঘু পরিবার ঘরছাড়া ও আহত হয়ে দুই মহিলা হাসপাতালে। একদলীয় শাসন বনাম বহুদলীয় গণতন্ত্র শীর্ষক এক আলোচনা সভায় চারদলীয় প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের রাজনীতিতে আওয়ামী লীগ আর কোন দিন ক্ষমতায় আসবে না।’ তাছাড়া বিএনপি নেতা মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল সংখ্যালঘুদের ভিটেমাটি ছেড়ে দেয়ার প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন, সংখ্যালঘুরা যদি নিজেদের অপকর্মের জন্য প্রাণের ভয়ে পালিয়ে যায় তাদের দাদা সোনা বলে দেশের মাটিতে ধরে রাখার দায়িত্ব আমাদের নয়। (জনকণ্ঠ ১/২৬/২০০২)
১০ জানুয়ারি ২০০২ আজকের কাগজের সংবাদ ছিলÑ৫ জানুয়ারি নারায়ণগঞ্জে এক জনসভায় ওয়াজ মাহফিলে জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী ঘোষণা দেয় দেশের সকল ভাস্কর্য ভেঙ্গে ফেলা হবে। সাঈদীর এহেন বক্তব্যের জবাবে এক সময়ের তুখোড় ছাত্রনেতা আব্দুর রাজ্জাক এর প্রতিবাদ করে বলেন, ভাস্কর্য ভাঙ্গার দুঃসাহসের সমুচিত জবাব দেবে বাঙালী জাতি। তিনি মুক্তিযুদ্ধের স্বাধীনতাবিরোধী শক্তির বিরুদ্ধে দেশবাসীকে রুখে দাঁড়াবার আহ্বান জানান। ৮ মার্চ ঢাকায় জামায়াতে ইসলামের সমাবেশে তালেবান বিপ্লবের ঘোষণা দেয়া হয় (খবর) ইউএনবির খবর। জনকণ্ঠে ৮ জানুয়ারি ২০০২ সংবাদ : রাজশাহীতে ঠিকাদারের কাছে চাঁদা না পেয়ে ঈদগার দেয়াল ভেঙ্গে দেয় বিএনপির সন্ত্রাসীরা। এলাকাবাসী প্রতিবাদ করলে ৮ জনকে পিটিয়ে জখম করে। আরও একটি সংবাদ : বঙ্গবন্ধুর ছবি ছাড়াই নতুন ব্যাংক নোট বাজারে শুরু হয়েছে বঙ্গবন্ধুর ছবি সংবলিত ব্যাংক নোটগুলো বাজার থেকে পর্যায়ক্রমে তুলে নেবার ষড়যন্ত্র চলছে। ১৯৭৪ সালে জিয়াউর রহমানের শাসনামলেও বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে ফেলার জন্য বঙ্গবন্ধুর ছবি সংবলিত ব্যাংক নোট বাজার থেকে তুলে নেয়া হয়। কামরাঙ্গিরচরে চাঁদাবাজির মহড়া পত্রিকার হকারদের ওপর রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর এলাকায় বিএনপির ক্যাডাররা চালু করেছে নতুন এই নিয়ম। তাদের সাফ কথা পত্রিকা বিক্রি করতে হলে চাঁদা দিতে হবে। নইলে ছাড়তে হবে এই ব্যবসা। তাছাড়া জনকণ্ঠ পত্রিকা বিক্রির ব্যাপারে রয়েছে তাদের বিশেষ কড়াকড়ি। উপায়ান্তর না দেখে হকাররা ক্যাডারদের চাঁদা দিয়েই চলেছে। ওদিকে কক্সবাজারে ছাত্রলীগের কর্মীকে অপহরণের পর হত্যা করা হয়। ১৭ জানুয়ারি ২০০২ জনকণ্ঠের আরও একটি সংবাদ : ৩০ পুলিশ কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলকভাবে অবসর দেয়া হচ্ছে। জোট-জামায়াত ক্ষমতায় আসার পর ৭৩ ব্যাচের পুলিশ প্রশাসনকে কর্মরত মুক্তিযোদ্ধাদের বাধ্যতামূলকভাবে অবসর দিয়ে জামায়াত সমর্থিতদের পদোন্নতি দেয়া হয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিবকেও নিযুক্তি দেয়া হয় একজন ঘোর জামায়াত সমর্থকে।
বিরোধী দলের নেত্রী শেখ হাসিনাকে ক্যান্টনমেন্টের ভেতর দিয়ে যেতে বাধা : (২২ জানুয়ারি ২০০২ জনকণ্ঠ) সোমবার ক্যান্টমেন্টের ভেতর দিয়ে টঙ্গী এজতেমায় আখেরী মোনাজাতে যেতে বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনাকে বাধা দেয়া হয়। প্রতি বছরই ক্যান্টনমেন্টের ভেতর দিয়ে আওয়ামী লীগের সভানেত্রীর গাড়ি টঙ্গী এজতেমায় যায়। কিন্তু এবার তার গাড়ি বহরকে বাধা দিলে শেখ হাসিনাকে মহাখালী ঘুরে টঙ্গী যেতে হয়েছে। আমাদের ধারণা একটি বিশেষ ভবনের নির্দেশে ক্যান্টনমেন্টের ভেতর দিয়ে বিরোধীদলীয় নেত্রীর গাড়ি যেতে দেয়া হয়নি।
জনকণ্ঠকে হয়রানির ঘটনায় গভীর উদ্বেগ: ২১ জানুয়ারি ২০০২ রিপোর্টার্স সান ফ্রন্টিয়ার্স। বিএনপি সন্ত্রাসীদের কুকর্মকা-ের সত্য কথা প্রকাশ করায় দৈনিক জনকণ্ঠের সরকারী বিজ্ঞাপন বন্ধ, বিদ্যুত সংযোগ বিচ্ছিন্নকরণসহ সম্পাদকের ওপর হয়রানিমূলক মামলা বন্ধে সংগঠনের সেক্রেটারি জেনারেল রবার্ট ম্যাক নরর্ড এক চিঠিতে জনকণ্ঠ সাংবাদিকদের হয়রানির ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন। রেকর্ড অনুসারে পত্রিকাটির কমপক্ষে ৮ জন সাংবাদিক শারীরিকভাবে নিগৃহীত হন। ১২ জনকে হুমকির শিকার হতে হয়েছে। বিদেশের দূতাবাসসমূহে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে জনকণ্ঠ পাঠানো বন্ধ করে দেয়। জানুয়ারির ২০ তারিখে ২০০২ ইনকিলাব পত্রিকার সংবাদ শিরোনাম ছিল-ইসলামী ঐক্য জোটের মুফতি আমেনী সাংবাদিক সম্মেলন করে বলেন ইসলামের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র বিনা চ্যালেঞ্জে ছেড়ে দেয়া হবে না। চারদলীয় জোট সরকার পাঁচ বছর পর ক্ষমতায় এসেই জনতার মঞ্চের সরকারী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেয়। এবার তারা আবার ক্ষমতায় গেলে ফখরুদ্দীন-মইন উদ্দীনের বিচার করবে বলে ঘোষণাও দিয়েছে। সেই সঙ্গে যে সব সামরিক বাহিনীর লোক ফখরুদ্দীনের তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে সহায়তা করেছে তাদেরও বিচার করবে। ১৯৮৯ সালে সংশোধিত সরকারী কর্মচারী (বিশেষ বিধান) অধ্যাদেশ ১৯৭৯ সালের ১১ নং অধ্যাদেশ এর ৩-এ ও ৩-সি ধারায় অপরাধ দেখিয়ে সকল মুক্তিযোদ্ধাকে সরকারী চাকরি থেকে বাধ্যতামূলক অবসর দেয়া হয়।
চলবে...
লেখক : মুক্তিযোদ্ধা ও আমেরিকা প্রবাসী