
জামালপুরের মেলান্দহে ব্রিজ নির্মাণের দেড় বছর পেরিয়েছে। মামলা জটিলতায় থেমে গেছে রাস্তা নির্মাণ কাজ। সংযোগ সড়ক না থাকায় চরম দুর্ভোগে হাজার হাজার মানুষ। ফলে অচল অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছে ব্রীজ দুটি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মেলান্দহ উপজেলার আটাবাড়ী গ্রামে ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ২০২২ সালে নির্মাণ কাজ শুরু হয়ে ২০২৪ সালে সম্পন্ন হয় ৫০ মিটার দৈর্ঘ্য একটি ব্রীজ৷ । অপরদিকে, জামালপুর সদরের চন্দ্রা গ্রামে প্রায় সাড়ে ১৪ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয় ৯৫ মিটার দৈর্ঘ্যের আরেকটি ব্রীজ। পরিকল্পনা অনুযায়ী এই দুই ব্রীজের মাঝে ৩ কিলোমিটার সংযোগ সড়ক নির্মাণের কথা থাকলেও বাস্তবে তার কোনো অস্তিত্ব নেই। নির্মাণে কাজ বাঁধা হয়ে দাড়িয়েছে মামলা। স্থানীয় শাহ আলম নামে এক ব্যক্তি রাস্তা নির্মাণের জন্য জমি দেননি। উল্টো করেছেন মামলা। এতে থমকে গেছে রাস্তা নির্মাণ কাজ।
ফলে চরাঞ্চলের আটাবাড়ী, ভাবকী, নলেরচরসহ আশপাশের গ্রামের মানুষ জেলা শহরের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারছেন না। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও অন্যান্য জরুরি সেবায় পৌঁছাতে হচ্ছে অতিরিক্ত পথ ঘুরে। এতে সময়, অর্থ ও কষ্ট-সবই বেড়ে গেছে কয়েকগুণ। সবচেয়ে বেশি ভুগছেন স্কুলকলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থী ও কৃষকরা। রাস্তা না থাকায় কৃষিপণ্যও সঠিক মূল্যে বিক্রি করতে পারছেন না তারা।
স্থানীয় বাসিন্দা মো. মুয়াসিম মণ্ডল বলেন, ব্রীজ বানিয়ে কী লাভ হলো, আমাদের কোনো কাজেই আসছে না! রাস্তার কাজ শেষ করে শহরে যাতায়াতের উপযোগী করে তুললে আমাদের অনেক উপকার হতো।
এ বিষয়ে শাহ আলমের বক্তব্য জানতে তার বাড়িতে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। তিনি অসুস্থ, ঢাকায় আছেন। তার ভাতিজা আশরাফ আলী জানান, আমাদের জমি জোরপূর্বক দখলের চেষ্টা করা হচ্ছিল, তাই আমরা আইনের আশ্রয় নিয়েছি। সকল কাগজপত্র ও প্রমাণাদি দেখে হাইকোর্ট কার্যক্রম স্থগিত করেছে।
মেলান্দহ উপজেলা প্রকৌশলী শুভাশীষ রায় জানান, রাস্তা নির্মাণ, প্রকল্পের অংশ হিসেবেই ছিল। কিন্তু ব্রিজের পাশে শাহ আলম নামের একজন ব্যক্তি তার জমি দিতে রাজি হননি। উল্টো কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। হাইকোর্টের স্থগিতাদেশের কারণে কাজ বন্ধ রয়েছে।
মুমু