
গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার ব্রহ্মপুত্র নদের পাড়ঘেঁষা কয়েকটি গ্রামের শতাধিক পরিবার দিন কাটাচ্ছেন নদীভাঙনের আতঙ্কে। পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভাঙনও শুরু হয়েছে। গত বছরের মতো এবারও বসতবাড়ি, বিদ্যালয়, মসজিদসহ নানা স্থাপনা হুমকির মুখে পড়েছে।
দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে ফুলছড়ির উড়িয়া ইউনিয়নের উত্তর উড়িয়া থেকে কটিয়ারভিটা পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার এলাকায় তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে পড়েছে উড়িয়া ইউনিয়নের কটিয়ারভিটা, উত্তর উড়িয়া, কালাসোনা, জোড়াবাড়ি ও কাবিলপুর গ্রাম।
এলাকাবাসী জানায়, গত বছরও ভাঙনে শতাধিক ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছিল। এবারও সেই পুরোনো আতঙ্ক ফিরে এসেছে। অব্যাহত ভাঙনে ঝুঁকিতে পড়েছে কটিয়ারভিটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চর কালাসোনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, উড়িয়া কমিউনিটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দক্ষিণ কালিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দরিয়ার ভিটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কয়েক শতাধিক বসতবাড়ি, একটি বাজার, কবরস্থান, মসজিদসহ বিভিন্ন স্থাপনা ও আবাদি জমি।
একাধিকবার ভাঙনের শিকার এসব নদীপাড়ের মানুষ আবারও বসতভিটা ও ঘরবাড়ি হারানোর আশঙ্কায় নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন। স্থানীয় বাসিন্দা সাইফুল ইসলাম বলেন, “গত বছর আমাদের অনেকের বাড়িঘর নদীতে চলে গেছে। এবার আবারও ভাঙন শুরু হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ বিভিন্ন দফতরে জানিয়েছি, কিন্তু এখনো কোনো কাজ শুরু হয়নি।”
গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হাফিজুল হক জানান, “ভাঙন ঠেকাতে জরুরি ভিত্তিতে জিও ব্যাগ ফেলার কাজ শুরু হচ্ছে। পাশাপাশি ভাঙনপ্রবণ এলাকাগুলোতে স্থায়ী প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের পরিকল্পনাও করা হচ্ছে।”
সজিব