
ছবি: জনকণ্ঠ
চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার অন্যতম বাণিজ্যিক কেন্দ্র চাতরী চৌমুহনী বাজারে বৃষ্টি হলেই সৃষ্টি হয় চরম জলাবদ্ধতা। কিছুক্ষণ টানা বৃষ্টির পরই বাজারের মূল সড়ক ও আশপাশের গলিগুলো হাঁটু পানিতে ডুবে যায়। এতে করে ব্যবসায়ী, ক্রেতা ও পথচারীরা পড়েন চরম ভোগান্তিতে।
স্থানীয়রা জানান, বাজারের ড্রেনেজ ব্যবস্থা দীর্ঘদিন ধরে অকার্যকর। পানি নিষ্কাশনের কোনো কার্যকর ব্যবস্থাপনা না থাকায় অল্প সময়ের বৃষ্টিতেই পানি জমে যায়। চলাচলের মূল সড়ক পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় পথচারীদের হাঁটাচলা কঠিন হয়ে পড়ছে। ময়লা পানির কারণে ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষ চরম ভোগান্তির মধ্যে রয়েছেন।
উপজেলা প্রকৌশলীর অফিস সূত্রে জানা গেছে, চাতরী চৌমুহনী বাজারের পানি নিষ্কাশনের সমস্যা সমাধানে ২০১৯ সালে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ৬০ লাখ টাকা ব্যয়ে একটি উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়। প্রকল্পের আওতায় বাজারের সড়কের দুই পাশে ড্রেন নির্মাণ, পথচারীদের জন্য ফুটপাত এবং একটি গোলচত্বর নির্মাণ করা হয়।
তবে প্রকল্প বাস্তবায়নের এক বছরের মধ্যেই ড্রেনগুলো অকার্যকর হয়ে পড়ে। ফলে সামান্য বৃষ্টিতেই বাজারে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়।
চাতরী চৌমুহনী বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, নিয়মিত পরিষ্কার না করার ফলে ড্রেনগুলো ময়লা ও বর্জ্যে বন্ধ হয়ে যায়। বৃষ্টি হলেই দোকানে পানি ঢুকে পড়ে। অনেক সময় মালামালের ক্ষতি হয়। বৃষ্টির পরদিনও কাদা-পানির কারণে ঠিকভাবে বেচাকেনা করা যায় না।
এ সড়ক ব্যবহারকারী আরাফাত জানান, বৃষ্টি হলেই চাতরী চৌমুহনী বাজারের সড়ক ডুবে যায়। পানি জমে পুরো এলাকা ময়লা পানিতে ভরে যায়। রাস্তা দিয়ে চলাফেরা তো দূরের কথা, দাঁড়িয়ে থাকাও কষ্টকর হয়ে পড়ে। আমরা যারা নিয়মিত এই সড়ক ব্যবহার করি, তারা খুবই কষ্টে আছি। পঁচা পানি, দুর্গন্ধ, কাদা সব মিলিয়ে চলাচল দুর্বিষহ হয়ে যায়।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাহমিনা আক্তার বলেন, চাতরী চৌমুহনী বাজার এলাকার ড্রেনগুলো নিয়মিত পরিষ্কার করা হচ্ছে। কিন্তু বাজারের সড়ক এবং আশপাশের ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন ফলের বর্জ্য ও ময়লা-আবর্জনা সরাসরি ড্রেনে ফেলে দিচ্ছেন। যার কারণে ড্রেনজমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে।
শিহাব