
ছবি: সংগৃহীত
নিজে ঋণ না নিয়েও অন্যের ঋণ পরিশোধ করতে হতে পারে—এমন সতর্কবার্তা দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সিরাজ প্রামাণিক। তিনি জানান, অনেকেই সম্পর্কের খাতিরে কারও ঋণের জামিনদার বা গ্যারান্টার হয়ে যান। কিন্তু ঋণগ্রহীতা টাকা পরিশোধে ব্যর্থ হলে সেই পুরো দায় এসে পড়ে জামিনদারের ঘাড়ে।
তিনি বলেন, “উদোর পিণ্ডি বুধোর ঘাড়ে পড়ে”—এমন পরিস্থিতি হতেই পারে যদি আপনি বিনা যাচাইয়ে কারও ঋণের গ্যারান্টার হন।
আইন অনুযায়ী, একজন গ্যারান্টার মূল ঋণ, তার ওপর সুদ, ঋণদাতার ক্ষতি এবং অন্যান্য খরচসহ পূর্ণ অর্থ পরিশোধে বাধ্য থাকেন। এ বিষয়ে অর্থঋণ আদালত আইন, ২০০৩-এর ৬(৫) ধারা অনুযায়ী আর্থিক প্রতিষ্ঠান যদি মূল ঋণগ্রহীতার বিরুদ্ধে মামলা করে, তাহলে সংশ্লিষ্ট গ্যারান্টারকেও প্রতিপক্ষ করতে হয়। আদালতের আদেশ বা ডিগ্রি তখন গ্যারান্টারসহ সব বিবাদীর বিরুদ্ধে যৌথভাবে কার্যকর হয়।
আইনজীবী সিরাজ প্রামাণিক আরও বলেন, যদি জামিনদার সম্পূর্ণ ঋণ পরিশোধ করে দেন, তাহলে তিনি সেই টাকা মূল ঋণগ্রহীতার কাছ থেকে দাবি করার অধিকারও অর্জন করেন।
তবে, গ্যারান্টার দাবি করে থাকতে পারেন যে, তিনি ঋণের কোনও অংশ ভোগ করেননি কিংবা তার আর্থিক সামর্থ্য নেই—কিন্তু এসব অজুহাত আদালতে গ্রহণযোগ্য নয়।
সতর্কবার্তা দিয়ে সিরাজ প্রামাণিক বলেন, “কারো ঋণের জামিনদার হওয়ার আগে ভালো করে ভেবে দেখুন—আপনার পক্ষে কি পুরো ঋণ এবং আনুষঙ্গিক খরচ পরিশোধ করা সম্ভব? নইলে, ভবিষ্যতে আইনি ঝামেলায় পড়তে হতে পারে।”
সূত্র: https://www.youtube.com/watch?v=0OiJFfaNfgQ
আবির