
গুলমোহর। কী ভাবছেন? কৃষ্ণচূড়ার আধিপত্য শিরোনামে গুলমোহর কেন বলছি! কারণ এটি কৃষ্ণচূড়ার ই আরেক নাম। সুন্দর এই নামটি অনেকেরই হয়ত অজানা।
রাজধানীর স্বনামধন্য ইডেন মহিলা কলেজ যেন সারাবছর ই বসন্ত লেগে থাকে । আর এই বসন্তের শ্রেষ্ঠ সময় হলো গুলমোহরের আধিপত্যের সময়। টকটকে লাল থেকে আগুন রঙা এই গুলমোহরে ছেয়ে গেছে ইডেন। করিডোর থেকে মেইন গেট কিংবা বাগানের আনাচে কানাচে কৃষ্ণচূড়ায় হারিয়ে গেছে যেন!
সমস্ত বৃক্ষের মাঝে এ যেন এক অনবদ্য কবিতার বাহার। দেখলেই যে কেউ প্রেমে পড়ে যাবে।
মেয়েরা তাদের বিষাদ সময় থেকে আনন্দের সময়ে মুগ্ধতায় আটকে যায় এখানে।
উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী সাদিয়া আফরিন বলেন, আমার কৃষ্ণচূ্ড়া ফুল খুব পছন্দের। কৃষ্ণচূড়া ক্যাম্পাসের সৌন্দর্য বেশ বাড়িয়ে দেয়।
আবার মন খারাপের ওষুধ যেন বৃষ্টি ছোঁয়া এ কৃষ্ণচূড়া। হালকা ঝড়- বৃষ্টি- বাতাসে আস্ত কৃষ্ণচূড়ায় ভরে যায় পথ।
ভূগোল বিভাগের তানিয়া আক্তার দীপা জানান, কৃষ্ণচূড়া তার পছন্দের ফুল। এ ফুল দারুণ আলপনা এঁকে রাখে যেন রাস্তায়। তা মাড়িয়ে যেতে কষ্ট হয়। তাই মুঠোয় মুঠোয় কুড়িয়ে নেয় কৃষ্ণচূড়ার ছোঁয়া।
প্রশান্তির এই রঙ দ্রুত সব ঝরে যাবে কিছুদিন যেতেই।বাংলাদেশে সাধারণত এপ্রিল থেকে জুন এই সময়ে গুলমোহরেরা ফুটে থাকে। এরপর ঘন পল্লবিত ধারায় থাকবে না তেমন লাল, হলুদ,কমলা রঙের ছবি। এই চিন্তায় মন খারাপ হয়ে যায় কিছুটা। তবে বছর ঘুরে ফিরবে ফের তার বাহার।
এর মধ্যে কত শত মনে পড়বে পাঁচ দলের(পাপড়ি) এক রঙের বেরঙের স্মৃতি। মন চাইবে একটু খানি ছুটে যাই, যাই গুলমোহরের দেশে!
যেন বেঁচে থাকি ফের তা দেখতে!
Jahan