
ছবি: সংগৃহীত
ময়মনসিংহের ফুলপুরে প্রেমঘটিত বিরোধের জেরে নিখোঁজের চার দিন পর সেপটিক ট্যাংক থেকে নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী আবু রায়হানের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (১৬ জুন) মধ্যরাতে ফুলপুর উপজেলার ভাইটকান্দি ইউনিয়নের সকল্লা এলাকা থেকে তার মরদেহ উদ্ধারের পর মঙ্গলবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। মরদেহ উদ্ধারের পর থেকে প্রেমিকার বাবা ও এক ভাই পলাতক রয়েছেন।
পারিবারিক সূত্র জানায়, গত ১২ জুন থেকে আবু রায়হান নিখোঁজ ছিল। তিনি একই উপজেলার ছনধরা ইউনিয়নের মেরিগাই গ্রামের মৃত তোফাজ্জল হোসেনের পুত্র এবং স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, আবু রায়হান পরিবারের সঙ্গে ভাইটকান্দি মোড়ে একটি বাসায় ভাড়া থাকতেন। পড়ালেখার একপর্যায়ে প্রতিবেশি শেখ ফরিদের মেয়ের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। ঘটনাটি জানতে পেরে মেয়ের পরিবারের লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন।
এ নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রেমিকার বাবা শেখ ফরিদ ও তার পুত্র সাগর আবু রায়হানকে কয়েকদিন আগে পথে আটকিয়ে মারধর করেন। প্রেমিকার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে রায়হানকে হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়। গত ১৩ জুন (শুক্রবার) রাত থেকে নিখোঁজ ছিলেন আবু রায়হান। পরিবারের লোকজন বিভিন্ন এলাকা ও আত্মীয়-স্বজনদের বাড়িতে খোঁজাখুঁজি করেও তার কোন সন্ধান না পেয়ে ফুলপুর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন।
এর চার দিন পর সোমবার (১৬ জুন) রাতে সকল্লা এলাকায় থাকা সেপটিক ট্যাংক থেকে দুর্গন্ধ বের হলে স্থানীয় লোকজন ট্যাংকের ঢাকনা খুলে অর্ধগলিত মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে সোমবার মধ্যরাতে ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
ফুলপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল হাদি বলেন, মঙ্গলবার সকালে মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রেম সংক্রান্ত ঘটনায় আবু রায়হানকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বাড়িতে মেয়ের বাবা শেখ ফরিদ ও ভাই সাগরকে পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ।
বাবুল হোসেন/রাকিব