
লন্ডনের চ্যাথাম হাউসে দেওয়া ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বক্তব্য ঘিরে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে তৈরি হয়েছে তীব্র প্রতিক্রিয়া। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে অংশ নিয়ে বিশিষ্ট রাজনৈতিক বিশ্লেষক জাহেদ উর রহমান বলেন, ড. ইউনূস বাংলাদেশের মানুষ ও তাদের গণতান্ত্রিক চর্চাকে ‘ভীষণভাবে অবজ্ঞা’ করেছেন।
অনুষ্ঠানে আলোচনার একপর্যায়ে উপস্থাপক ড. ইউনূসের বক্তব্য তুলে ধরে জাহেদ উর রহমানকে প্রশ্ন করেন, “ড. ইউনূস কি আসলে অবজ্ঞা করলেন যখন তিনি লন্ডনের চ্যাথাম হাউসে এ বলছেন, আমাদের দেশের মানুষ টাকার বিনিময়ে ভোট দেয়, কে কত টাকা দেবে সেটাই হচ্ছে এখানে আসল বিষয়। এই বিষয়টা যখন তিনি বলছেন, তখন কি আমার আপনার ভোট মানে আমরা যারা ভোট দেই আমাদেরকে কি অবজ্ঞা করা হচ্ছে?”
উত্তরে জাহেদ উর রহমান বলেন,“অবজ্ঞা করা হচ্ছে। ভীষণ ভাবে অবজ্ঞা করা হচ্ছে। শুধু আমাদের ব্যক্তি কেন? গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাটিকে অবজ্ঞা করা হয়েছে।আপনি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাটিকে অবজ্ঞতা করতে পারেন। পৃথিবীতে প্রচুর প্রপোনেন্টস আছেন যারা মনে করেন গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা আদতে ভালো কিছু না, এটা পারছে না।
কিন্তু আপনি যদি গণতন্ত্রের কথা বলেন, ড. ইউনূস গণতন্ত্রের কথা বলছেন। তখন ভোটারদের এই যে কালেক্টিভ ডিসিশন মেকিং এর যে জায়গা সেটাকে অবজ্ঞা করা, ব্লাসফেমি শব্দটা ব্যবহার করি আমি করেছি আমি এই প্রসঙ্গে। আপনি ডেমোক্রেটিক থাকেন না যদি আপনি জনগণকে টাকা খেয়ে ভোট দেয় বলেন।”
এরপর তিনি আরও বলেন,“দু নম্বর কথাটা হচ্ছে, এই দেশের মানুষ টাকা খেয়ে ভোট দেয় না। উনি ষ্টেরিওটাইপ করছে। এদেশে কিছু মানুষ টাকা নেয়, টাকা খেয়ে ভোট হয়তো দেয়। কত পার্সেন্ট?”
তিনি বলেন,“আমরা একটা উদাহরণ নিয়ে প্রচুর আলাপ করেছি। টাকা খেয়ে যদি মানুষের ভোট কেনা যেত, শেখ হাসিনা তিনটা ইলেকশন রিক করতোনা, এর মধ্যে ১৮ সালে তাও বিএনপি এসছিলো। রাতে সিল মারতো না বা বিএনপির তুলনায় বহুগুণ টাকা বেশি আওয়ামী লীগ খরচ করতে পারত এবং যদি টাকা খরচ করে জেতা যেত আমি টাকা খরচ করেই ফেয়ার ইলেকশন এ জিততো।”
অনেকেই বলছেন, আন্তর্জাতিক পরিসরে দেশের ভোটারদের এভাবে উপস্থাপন করাটা যেমন বাস্তবচ্যুত, তেমনি জাতির মর্যাদারও পরিপন্থী।
আফরোজা