
পার্বত্য বান্দরবানের বাজার গুলোতে বিপুল পরিমাণে দেশি-বিদেশি জাতের আম বিক্রি করতে দেখা যাচ্ছে। পহাড়ে উৎপাদিত আম গুলো জাতভেদে ৬০ টাকা থেকে ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বান্দরবানের বাজার গুলোতে বিক্রির জন্য স্তরে স্তরে সাজিয়ে রাখা হয়েছে রেড পালমাল, রেড কুইন, মিয়াজাকি, ব্রুনাই কিং, রুপালী, বার্মিজ জাতের রাঙ্গোয়াই'সহ বিভিন্ন জাতের পাহাড়ে উৎপাদিত ফরমালিনমুক্ত আম। বিদেশি জাতের পাকা আমের সৌন্দর্য আকর্ষণ করলেও অম্রপালি-রাঙ্গোয়াই আমই বেশি ঝুঁকছে ক্রেতারা।
বাজারে দেশি জাতের আম্রপালি ও রাংগোয়াই আম বিক্রি হচ্ছে ৬০-১০০ টাকায়। বিদেশি জাতের আম কাটিমান ১৮০ থেকে ২২০ টাকা, কিউজাই ২৫০ থেকে ২৮০ টাকা, বুনাই কিং ১৮০ থেকে ২২০ টাকা, ব্যানানা ম্যাংগো ২০০ টাকা, রেড পালমাল-রেডকুইন ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা, কাটিমন ১৮০ টাকা ও হিমসাগর ১০০ টাকায় বিক্রি করছেন খোঁচারা বিক্রেতারা।
ফল বিক্রেতা মো. খোকন বলেন, দোকানে রেড পালমাল, রেড কুইন, ব্যানেনা, কাটিমন, কিউজাই, হিমসাগর, লেংড়া ও রুপালি জাতের আম রয়েছে। বিদেশি আমের দাম বেশি হওয়ায় দৈনিক ৫-৭ কেজির বেশি বিক্রি হয় না। এছাড়া দেশিয় রুপালী, লেংড়া ও হিমসাগর আমের দাম তুলনামূলক কম ও সুস্বাদু হওয়ায় দৈনিক ৩০ থেকে ৪০ কেজির বেশি আম বিক্রয় হয় বলে জানান তিনি।
মো. জুবায়ের নামে আরেক ফল বিক্রেতা জানান, সকালে ২০ কেজি ব্যানেনা ও ৫০ কেজি রাঙ্গোয়াই জাতের আম নিয়েছিলেন বিক্রির জন্য। দুপুর পর্যন্ত চার কেজি ব্যানেনা ও ৩২ কেজি রাঙ্গোয়াই আম বিক্রি করেছি।
বান্দরবান বাজারের আম ক্রেতা সুফল কান্তি পাল জানান, বিদেশি জাতের আম দেখতে লোভনীয় হলেও পরিবারের সদস্য অনুযায়ী এ জাতের আম কেনা ব্যয়বহুল। যার কারণে কম দাম ও মিষ্টতায় অতুলনীয় হওয়ায় দেশিয় জাতের রুপালী আম কিনেছি।
জানতে চাইলে বান্দরবান কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক এম.এম.শাহ নেয়াজ দৈনিক জনকণ্ঠকে বলেন, গত বছর পার্বত্য এ জেলায় ১০ হাজার ১০০ হেক্টর জমিতে আমের আবাদ হয়েছিল। এবার ১০ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে চাষ হয়। তবে ৬৫ শতাংশ রাঙ্গোয়াই, ৩০ শতাংশ আম্রপালি, ৫ শতাংশ দেশি ও বিদেশি জাতের আমের আবাদ হয়েছে। হেক্টর প্রতি ১১ থেকে ১২ মেট্রিক টন গড় ফলন পাওয়া যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
মুমু