
ছবি: সংগৃহীত।
বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দেহের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের কর্মক্ষমতা কমে যায়। হাড় দুর্বল হয়, হজমশক্তি কমে যায়, রোগ প্রতিরোধক্ষমতা হ্রাস পায়, মস্তিষ্কের কার্যকারিতা ধীরে ধীরে ক্ষীণ হয়ে পড়ে। এসব পরিবর্তনকে স্বাভাবিকভাবে মোকাবিলা করতে বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দেন পুষ্টিকর এবং বয়সভেদে উপযোগী খাবার গ্রহণের।
বিশেষজ্ঞদের মতে, বয়স ৪০ পেরোনোর পর থেকেই খাদ্যাভ্যাসে কিছু পরিবর্তন আনা জরুরি। এতে বার্ধক্যের প্রভাব কমে, বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি হ্রাস পায় এবং মানসিক-শারীরিকভাবে সুস্থ থাকা যায় দীর্ঘদিন।
নিচে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রতিদিনকার খাদ্যতালিকায় যে ১২ ধরনের খাবার রাখা উচিত, তা তুলে ধরা হলো:
১. ওটস – হৃদযন্ত্র সুস্থ রাখতে ও রক্তে কোলেস্টেরল কমাতে কার্যকর।
২. দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার – ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি-এর উৎস, যা হাড়ের ক্ষয় রোধে সহায়ক।
৩. ডিম – প্রোটিন ও ভালো কোলিনের উৎস যা মস্তিষ্ক ও চোখের স্বাস্থ্যে সহায়ক।
৪. বাদাম ও বীজ – ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, ফাইবার ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে ভরপুর, যা হৃদরোগ ও বার্ধক্যজনিত রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে।
৫. সবুজ শাকসবজি – ভিটামিন কে, আয়রন ও আঁশসমৃদ্ধ, যা হজমে সহায়ক এবং রক্তশূন্যতা রোধে কার্যকর।
৬. মাছ (বিশেষ করে সামুদ্রিক মাছ) – উচ্চ মানের প্রোটিন ও ওমেগা-৩ সরবরাহ করে, যা ব্রেইনের কার্যকারিতা ও হৃদপিণ্ডের স্বাস্থ্য রক্ষা করে।
৭. বেরি জাতীয় ফল (ব্লুবেরি, স্ট্রবেরি ইত্যাদি) – স্মৃতিশক্তি বাড়ায়, ক্যানসার ও হৃদরোগ প্রতিরোধে সহায়ক।
৮. গাজর ও বিটরুট – ভিটামিন এ, বিটা-ক্যারোটিন ও ন্যাচারাল নাইট্রেটের উৎস, যা দৃষ্টিশক্তি ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
৯. কলা – পটাশিয়ামে সমৃদ্ধ, যা পেশির কার্যকারিতা ও হৃদস্পন্দন নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে।
১০. অ্যাভোকাডো – ভালো চর্বি ও ফাইবারে ভরপুর, যা ত্বক ও হৃদযন্ত্রের জন্য উপকারী।
১১. টমেটো – লাইকোপেন নামক অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ, যা ক্যানসার প্রতিরোধে সাহায্য করে।
১২. চিয়া সিড ও ফ্ল্যাক্স সিড – ফাইবার ও ওমেগা-৩ এর চমৎকার উৎস, যা হজমের উন্নতি করে ও দীর্ঘসময় পেট ভরাট রাখতে সহায়তা করে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, শুধু খাবার নির্বাচন করলেই হবে না, বরং তা পরিমিত এবং নিয়মিতভাবে খেতে হবে। একই সঙ্গে পরিমিত পানি পান, নিয়মিত হাঁটা বা ব্যায়াম ও ঘুমের যথাযথ রুটিন বজায় রাখতে পারলে বয়স বাড়লেও শরীর ও মন থাকবে তরতাজা।
মিরাজ খান