
ছবি: সংগৃহীত
বন্ধুত্ব কখনও দেশের সীমানায় আটকে থাকে না। এমনই এক নজির স্থাপন করলেন সৌদি নাগরিক হুমুদ দায়ফাল্লা আল-উথাইবি। ব্যবসায়িক বন্ধুর টানে স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে তিনি ছুটে এসেছেন বাংলাদেশে। উদ্দেশ্য, প্রিয় বন্ধু সুমন মিয়ার নতুন নির্মিত সাততলা ভবনের উদ্বোধন।
২০০১ সালে মাদারীপুর সদর উপজেলার মাদ্রা গ্রামের সুমন মিয়া সৌদি আরবের রিয়াদে ঠিকাদারি কাজ শুরু করেন। সেই সময় থেকেই তার সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে সৌদি ব্যবসায়ী ও কফিল হুমুদ আল-উথাইবির। বছর পেরোতেই তাদের সম্পর্ক কেবল পেশাদারিতেই সীমাবদ্ধ থাকেনি, রূপ নেয় গভীর বন্ধুত্বে।
সম্প্রতি সুমন দেশে ফিরে মাদারীপুর শহরের কুকরাইল এলাকায় জায়গা কিনে একটি সাততলা ভবনের নির্মাণকাজ শেষ করেন। খবর পেয়ে হুমুদ আল-উথাইবি স্ত্রী শাহাব মোহাম্মদ গেরইনিকে নিয়ে বাংলাদেশে চলে আসেন ভবনটির উদ্বোধনে অংশ নিতে এবং সুমনের সঙ্গে কিছু সময় কাটাতে।
শুক্রবার দুপুরে মাদারীপুর শহরের একটি আবাসিক হোটেল থেকে অটোরিকশায় চড়ে সুমনের বাড়িতে আসেন সৌদি দম্পতি। পরে জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে তারা উদ্বোধন করেন সুমনের বহুতল ভবন।
প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে এসেই মুগ্ধ সৌদি নাগরিক ও তার স্ত্রী। তারা জানান, এখানকার মানুষের আতিথেয়তায় তারা অভিভূত। অতিথিপরায়ণতায় সমৃদ্ধ বাংলাদেশের মানুষের ভালোবাসা তাদের হৃদয় ছুঁয়ে গেছে। হুমুদ বলেন, “বন্ধুর টানেই বাংলাদেশে এসেছি। আবারো আসতে চাই এই সুন্দর দেশে।”
এদিকে সৌদি নাগরিক ও তার স্ত্রীকে এক নজর দেখতে ভিড় জমিয়েছেন স্থানীয়রা। বিশেষ করে শিশু-কিশোরদের মধ্যে ছিল প্রবল আগ্রহ। অতিথিদের স্বাগত জানাতে আয়োজন করা হয় কাচ্চি মোরগ পোলাওসহ নানা রকম সুস্বাদু খাবারের।
এলাকাবাসীর একজন বলেন, “আমরা এমন দৃশ্য আগে কখনও দেখিনি। একজন সৌদি নাগরিক নিজের কর্মীর ভালোবাসায় সাড়া দিয়ে বিদেশ থেকে বাংলাদেশে এসে তার বাড়ির উদ্বোধন করলেন—এটা গর্বের ও আনন্দের বিষয়।”
সৌদি দম্পতি গত বুধবার বাংলাদেশে আসেন। তারা মাদারীপুর শহরের একটি হোটেলে অবস্থান করছেন। আগামী রোববার তাদের নিজ দেশে ফেরার কথা রয়েছে।
ছামিয়া