ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫, ৩ আষাঢ় ১৪৩২

ইসরায়েলের ওপর ফের ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

প্রকাশিত: ০৯:১১, ১৭ জুন ২০২৫

ইসরায়েলের ওপর ফের ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

ছবি: সংগৃহীত।

ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে চলমান সংঘাত পঞ্চম দিনে গড়িয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ইরান ফের ইসরায়েলের উদ্দেশে নতুন করে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। ক্রমবর্ধমান উত্তেজনায় মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে দীর্ঘমেয়াদি সংঘাতের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

নিচে ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের সর্বশেষ ১০টি গুরুত্বপূর্ণ আপডেট তুলে ধরা হলো:

ইসরায়েলের ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’ নামের অভিযানের মাধ্যমে ইরানকে পরমাণু অস্ত্র তৈরির চেষ্টা থেকে বিরত রাখার দাবি করা হয়। ওই অভিযানের জবাবে ইরান ধারাবাহিকভাবে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।

ইরানি ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরায়েলের বিভিন্ন শহর ও জনপদে এখন পর্যন্ত ২০ জনের বেশি নিহত হয়েছেন এবং শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।

ইরানি গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী তেহরানে ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের একটি ড্রোন তৈরির গোপন কারখানা শনাক্ত ও ধ্বংস করেছে। ওই অভিযানে আলবোরজ ও তেহরান প্রদেশে মোসাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সন্দেহে দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

অভিযানে প্রায় ২০০ কেজি বিস্ফোরক, ২৩টি ড্রোনের যন্ত্রাংশ, লঞ্চারসহ প্রযুক্তিগত সরঞ্জাম জব্দ করা হয়।

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং প্রধান পরমাণু আলোচক আব্বাস আরাঘচি বলেন, “ইরানের ওপর ইসরায়েলের এই আগ্রাসন কূটনীতিকে ধ্বংস করছে।” তিনি ফ্রান্স, ব্রিটেন ও জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ফোনালাপে এমন মন্তব্য করেন।

তিনি আরও বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চলমান পারমাণবিক আলোচনার মধ্যেই ইসরায়েলের এই হামলা কূটনৈতিক প্রচেষ্টার জন্য ভয়াবহ ধাক্কা।”

এই উত্তেজনাকর পরিস্থিতির মধ্যে সোমবার অনলাইনে একটি ভয়াবহ ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে, যেখানে দেখা যায় ইরানি রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের স্টুডিওতে সরাসরি সম্প্রচারের সময় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়।

স্টুডিওর ভিতর থেকে সরাসরি সংবাদ পড়ছিলেন সংবাদ পাঠিকা সাহার ইমামি। হঠাৎ করে পুরো স্টুডিও কেঁপে ওঠে এবং তিনি আতঙ্কিত হয়ে উঠে পড়েন ও স্টুডিও ছেড়ে চলে যান।

এই ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয় এবং বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ সৃষ্টি করে, কারণ এটি ইরান-ইসরায়েল সংঘাত কতটা গভীরে পৌঁছেছে তা স্পষ্ট করে দেয়।

পরিস্থিতি ক্রমশ ভয়াবহ দিকে মোড় নিচ্ছে এবং বিশ্লেষকরা বলছেন—এই সংঘাত যদি এখনই নিয়ন্ত্রণে না আনা যায়, তবে পুরো মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চল একটি বড় ধরনের যুদ্ধের মুখোমুখি হতে পারে।

এই প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত সংঘাত অব্যাহত রয়েছে এবং আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক মহল পরিস্থিতি শান্ত করতে তৎপর হয়ে উঠেছে।

সূত্র: https://short-link.me/14N3z

মিরাজ খান

×